× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

গুরুদাসপুরে রসুনের ক্ষতি কাটিয়ে বাঙ্গিতে কৃষকের হাসি

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

১৬ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৫৫ এএম

রাজধানীসহ দেশে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য চষিরা বাঙ্গি ট্রাকভর্তি করছেন। ছবি: সংবাদ সারাবেলা

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলাজুড়ে রসুনের দাম নিয়ে হতাশ কৃষক। কিন্তু সেই হতাশা কাটিয়ে তৃপ্তির হাসি ছড়াচ্ছে একই জমির সাথী ফসল বাঙ্গি।

রমজান মাসের রোজার কারণে উপজেলার কৃষকদের ফলানো সুস্বাদু তরমুজ ও বাঙ্গির চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দামও। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকযোগে ছড়িয়ে পড়ছে এ অঞ্চলের বাঙ্গি।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি বছরে এ অঞ্চলে ১৩৫ মেট্রিক টন বাঙ্গি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) সরজমিনে পাঁচশিশা ও নারিবাড়ী এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে রসুন চাষে লোকসান গুনছেন তারা। আশায় আশায় পরপর দুবছর রসুনের দামে ধ্বস।

বর্তমানে প্রতি মণ রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে এক হাজার টাকায়। রসুনের দাম বিপর্যয়ে হতাশাগ্রস্ত কৃষক সাথী ফসল বাঙ্গির ভালো দামে খুশি চাষীরা।

বাঙ্গি বিক্রির জন্য উপজেলাজুড়ে স্থায়ী হাট ছাড়াও বেশ কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ হাট বাজার বসেছে।

উপজেলার শিধুলী দেবদাড় মোড়ে ভ্রাম্যমাণ বাজারে ঢাকার কাওরান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী বদিউল ইসলাম ও মোতালেব বলেন, গুরুদাসপুরের বাঙ্গি অনেক সুস্বাদু। রাজধানীতে এ বাঙ্গির বেশ চাহিদা রয়েছে। তারা চাষীদের নিকট প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কিনছেন। মানভেদে প্রতিটি বিক্রি হবে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এর মধ্যে প্রতিটি বাঙ্গির জন্য আট থেকে দশ টাকা খরচা হবে বলেও জানালেন তারা।

উপজেলার শিধুলী, নারিবাড়ি, হাজির হাট এলাকার মাঠগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারো রসুনের সাথী ফসল বাঙ্গির চাষ করেছেন অধিকাংশ কৃষক। কেউ জমি থেকে বাঙ্গি সংগ্রহ করছেন কেউবা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। জমি থেকে সংগ্রহের পর কেউ কেউ বিক্রির জন্য জমিতে ও সড়কের পাশে স্তূপ করে রাখছেন। এসব বাঙ্গি দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত স্থানীয় ও বহিরাগত পাইকাররা কিনে ট্রাকভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলার হাসমারী গ্রামের কৃষক আব্দুল ওয়ারেছ বলেন, অন্যের দুই বিঘা কৃষি জমি লিজ নিয়ে প্রতিবারের মতো এবারেও রসুনের সাথে বাঙ্গির চাষ করেছি। দুই বিঘা বাঙ্গি চাষে তার খরচ ৪০ হাজার টাকা। তাঁর আশা ৮০ হাজার টাকা বাঙ্গি বিক্রি হবে। বাঙ্গির ভালো দাম থাকায় রসুনের লোকসান পুষিয়ে উঠবেন বলেও জানান তিনি।

উপজেলার পাঁচশিসা গ্রামের কৃষক শাকিরুল্লাহ খোকন সহ কয়েকজন জানান, এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় বাড়তি সেচ ও পোকামাকড় দমনে অতিরিক্ত বালাইনাশক ব্যবহার করতে হয়েছে। এতে তাদের খরচ বেশি হলেও বাজারে ভালো দাম পেয়ে খুশি তারা।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হারুনর রশিদ জানান, গুরুদাসপুরে এ বছর প্রায় ১৩৫ মেট্রিকটন বাঙ্গি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উপজেলার ৭৯০ হেক্টর কৃষিজমিতে বাঙ্গি ও ৭৬০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। বৃষ্টি না হলেও আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। এতে ফলন ভালো হয়েছে। ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। এজন্য মাঠ সাথী ফসল তরমুজ,বাঙ্গি চাষে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.