× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ধানে নেকব্লাষ্ট রোগ শনাক্ত

চাল নেই একটি ধানেও, কৃষকের মাথায় হাত

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

০৯ এপ্রিল ২০২২, ১৩:৩৪ পিএম

ধানের নেকব্লাস্ট রোগ নিয়ে হতাশ শ্রীপুর উপজেলার চাষীরা। ছবি: সংবাদ সারাবেলা

গাজীপুরে শ্রীপুর উপজেলার ধান চাষীরা তাদের সর্বস্ব দিয়ে ধানের চারা বপন করেছেন। এবার পালা ধান ঘরে তোলার। এলাকার চারপাশ জুড়ে কেবল ধানক্ষেত। দূর থেকে মনে হবে দু’একটি ক্ষেতের ধান আগাম পেকে গেছে। কাছে গিয়ে হাত দিলেই চোখ কপালে। লম্বা ধানের ছড়ার ধান সোনালী রং ধরেছে। চাল নেই একটি ধানেও। উপজেলার অনেক ধানক্ষেতেই এ চিত্র। এমন অবস্থায় কুল কিনারা পাচ্ছেন না  ভুক্তভোগী চাষীরা। তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এটি নেকব্লাষ্ট রোগ। নিয়ম মতো তিন বার ছত্রাক নাশক ওষুধ ব্যবহার করলে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

স্থানীয় হাবিবুর রহমান জানান, তিনি পেশায় শিক্ষকতার পাশাপাশি ধান চাষ করে থাকেন। চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার বীজ বিক্রয় কেন্দ্র থেকে ব্রি ধান-২৮ জাতের বীজ এনে ৫বিঘা জমিতে চাষ করেন। ধান রোপণের নির্দেশনা মেনেই যথাসময়ে ধান রোপণ করেন। তাঁর ৫ বিঘা জমিতে শিষ আশা পর্যন্ত খরচ পড়েছে ৩৬ হাজার ৯’শ টাকা। ক্ষেতে ধান দেখে চোখ জুরিয়ে যেত। এ জমি থেকে ধান উৎপাদনের আশা ছিল ১’শ মন। যা বিক্রি করে আয় হতো তার লাখ টাকা। সে আশায় গুড়ে বালি। একটি টাকাও ঘরে আসবেনা। পুরো জমির ধানে সোনালী রং ধরেছে। দূর থেকে মনে হবে ধান পেকে গেছে। কাছে গিয়ে ধানের ছড়া ধরলেই যে কারো চোখ কপালে। লম্বা ধানের ছড়ায় চালনেই একটি ধানের। প্রতিটি ছড়াই শুকিয়ে সোনালী রং ধরেছে। কোন ছড়ার গোড়ায়, আবার কোনটার শিষের নিচের কাণ্ড পচে গেছে।

হাবিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গ্রাম জুরে শত শত বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকের কোন খোঁজ খবর রাখেন না। শুধু হাবিবুরের জমি নয় এ রোগ আশ পাশের জমিতেও ছড়িয়ে পড়ছে।

পটকা গ্রামের ধান চাষী ফরিদ আহাম্মদ জানান, বেশ ক’বছর ধরেই বোরো ধানে এ রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে। কোন ক্ষেতে সংক্রমিত হলে দু’এক দিনের মধ্যেই পুরো জমির ধান নষ্ট হয়ে যায়। স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নেকব্লাষ্ট রোগ অতি দ্রুত ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ক্ষেত রক্ষা করা সম্ভব হয়না।

শ্রীপুর পৌর শহরের প্রবীণ সার-কীটনাশক ব্যবসায়ী মো. কবির হোসেন জানান, উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বোর ধানে এ রোগে সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন ধানে শীষ আসার সময় তিন ধাপে ছত্রাক নাশক ব্যবহার করলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন বলেন, কৃষকদেরকে ব্রি-ধান ২৮ রোপণে নিরুৎসাহিত করা হয়। তবুও তারা শুনে না। এ জাতের ধানে নেকব্লাষ্ট রোগের আক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। ধানে শীষ আসার আগ মূহুর্তে তিন দফায় ছত্রাক নাশক স্প্রে করলে অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এস.এম মূয়ীদুল হাসান জানান, বোর ধানে নেকব্লাষ্ট রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে। কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠে পরিদর্শন করে থাকেন। তারা কৃষকদের যথাযথ পরামর্শও দেন। কোনও কৃষক কর্মকর্তাদের পরামর্শ না মেনে ধান চাষ করে থাকেন। এজন্য কিছু সমস্যা হয়ে থাকতে পাড়ে। তিনি জানান, সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.