নোয়াখালীর চাটখিলে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যার পর ধর্ষণ করে সেপটিক ট্যাংকে ভরে রাখেন হত্যাকারী মো. শাহাদাত হোসেন।
রোববার (৩ এপ্রিল) সকালে নিহত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার (০২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে নিখোঁজের ৯ দিন পর উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের মেঘা গ্রামের মৃধা বাড়ির একটি শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মো. শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে চাটখিল থানার পুলিশ।
সে উপজেলার ৪নং বদলকোট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘা গ্রামের মৃধা বাড়ির মো. বাবুলের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে নিজ বসত বাড়ির সামনে থেকে ওই শিশু নিখোঁজ হয়। এরপর শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা শুক্রবার (২৫ মার্চ) চাটখিল থানার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডিতে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী গত সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বসতবাড়ি থেকে বাড়ির সামনে যায়। পরবর্তীতে তাকে বসতবাড়ির সামনে দেখতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বাড়ির আশে পাশে চারদিকে ও নিকট আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুজি করে। খোঁজ না পেয়ে একপর্যায়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই জিডির সূত্র ধরে তদন্ত নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে শিশু নিখোঁজ থাকার ৮ দিনের মাথায় গত শুক্রবার রাতে নিহত শিশুর আপন চাচাতো ভাই শাহাদাতকে সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।
ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার দেওয়া তথ্য মতে ঘটনার ৯ দিন পর নিহতের বাড়ির একটি শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত আসামি নিহতকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যান। এরপর তাকে প্রথমে হত্যা করে তারপর তাকে ধর্ষণ করে লাশ বাড়ির শৌচাগারের ট্যাংকে পেলে দেয়।
ওসি গিয়াস উদ্দিন আরও বলেন, নির্বিঘ্নে ধর্ষণ করতে অভিযুক্ত আসামি প্রথমে শিশুকে হত্যা এবং তারপর ধর্ষণ করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায় সে। আসামির আজ রোববার বিচারিক আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে।