বহুল
আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অন্যান্য আসামির খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছে। আজ (১৯ মার্চ) বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়। এছাড়া, আপিল বিভাগের কার্যতালিকায়ও এই বিষয়টি এসেছে।
গত
১২ জানুয়ারি হাইকোর্ট একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার সব আসামিকে খালাস
দেন। এতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লুৎফুজ্জামান বাবরসহ
অন্যান্য আসামির মুক্তি ঘটে। হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম
আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ
এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা
করেন। রায়ে বলা হয়, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার অবৈধ ছিল এবং আইনের দৃষ্টিতে তা গ্রহণযোগ্য নয়।
বিচারিক আদালতের রায়ও বাতিল করা হয়, কারণ যে চার্জশিটের ভিত্তিতে
মামলার বিচার হয়েছিল তা আইনগতভাবে সঠিক
ছিল না।
রায়
ঘোষণা শুরু হয় সকাল ১১টায়
এবং ১১টা ৪৫ মিনিটে রায়ের
পুরো অংশ পাঠ শেষ হয়। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহান
ও মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন। বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন এবং ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী।
এর
আগে, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর একুশে
আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায়
১৯ আসামিকে ফাঁসি এবং ১৯ জনকে যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। এরপর ওই বছরের ২৭
নভেম্বর মামলার রায়সহ প্রয়োজনীয় নথি হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পাঠানো হয়।
২০০৪
সালের ২১ আগস্ট, বিকেলে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এই হামলায় আওয়ামী
লীগের মহিলা-বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত
হন এবং শেখ হাসিনাসহ কয়েকশ' আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী আহত হন।