বুয়েট
শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের
রায় আজ, ১৬ মার্চ, রোববার
ঘোষণা করা হবে। এই রায় প্রদান
করবেন বিচারপতি এ কে এম
আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, আবরার হত্যা মামলাটি আজ সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের
কার্যতালিকায় প্রথম নম্বরে রয়েছে।
গত
২৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি
শেষ হয়। বিচারপতি এ কে এম
আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ
এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিল। গত ১০ ফেব্রুয়ারি
এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল, এবং এর পর গত
বছরের অক্টোবর মাসে দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এই উদ্যোগ গ্রহণ
করেছিলেন।
২০২২
সালের ৬ জানুয়ারি আবরার
ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড
এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ড অনুমোদন জন্য ডেথ রেফারেন্স ও মামলার নথি
হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পরে আসামিরা মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন। বিচারিক আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের পর সেটি উচ্চ
আদালতে পাঠানো হয়, যেখানে আসামিরা ফৌজদারি ও জেল আপিল
করতে পারেন।
২০২১
সালের ৮ ডিসেম্বর আবরার
ফাহাদ হত্যা মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ ২০ জনের
মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ড প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা বুয়েট ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ছিলেন, তাদের মধ্যে মেহেদী হাসান রাসেল, মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার অপু, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মুনতাসির আল জেমি, মোজাহিদুর
রহমান, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, শামীম বিল্লাহ, মাজেদুর রহমান মাজেদ, খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল,
এস এম নাজমুস সাদাত,
মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মিজানুর রহমান, শামছুল আরেফিন রাফাত, মুজতবা রাফিদ এবং এসএম মাহামুদ সেতু।
এছাড়া,
৫ জনের যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে ছিলেন মুহতাসিম ফুয়াদ, ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, অমিত সাহা, আকাশ হোসেন, এবং মোয়াজ আবু হোরায়রা।
২০১৯
সালের ৬ অক্টোবর রাতে
বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে
আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন তার বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন, এবং মাত্র ৩৭ দিনে তদন্ত
শেষে চার্জশিট দাখিল করা হয়।