সাম্প্রতিক
যে বিষয়টি গোটা জাতির মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে সেটি হলো ধর্ষণ। যেখানে রেহাই পাচ্ছে না শিশু থেকে
শতবর্ষী বৃদ্ধাও। আর ধর্ষকদের অধিকাংশের
বয়স বিশ থেকে ত্রিশের কোঠায়।
এক
কথায় বলা চলে, আমাদের দেশের কিছু তরুণ ধর্ষণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। দ্রুত এ অশুভ প্রতিযোগিতা
থেকে ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের যেসব
দায়িত্ব রয়েছে ইসলামের দৃষ্টিতে তা তুলে ধরা
হলো
আল্লাহ
তাআলা কোরআনে বলেন,
ব্যভিচারিণী
নারী ব্যভিচারী পুরুষ, তাদের প্রত্যেককে ১০০ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকরে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি
তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি
বিশ্বাসী হয়ে থাকো। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের
শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। (সুরা নুর ২৪:২)
ইসলামি
আইনশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে চারজন সাক্ষীর উপস্থিতি প্রয়োজন, তবে আধুনিক প্রযুক্তি যেমন ডিএনএ টেস্টও প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলাম নৈতিক শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেয়। পাশাপাশি সমাজে সতর্কতা ও নৈতিকতা বৃদ্ধির
জন্য ইসলামের শিক্ষা গ্রহণ ও তার অনুসরণও
অত্যন্ত জরুরি।
বাংলাদেশের মতো দেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায়
অপরাধীদের অতি দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধর্ষণের শাস্তি দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়িত হলে সমাজে এক ধরনের আতঙ্ক
ও ভয় সৃষ্টি হবে,
যা অপরাধীদের তৎক্ষণাৎ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে।