জনপ্রিয় ইসলামী
আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে মেয়েদের হুডি
পরার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্তব্য করেছেন মেয়েদের জন্য হুডি এবং এ জাতীয় পোশাক
পরা জায়েজ।
ভিডিওতে
দেখা গেছে, ডুয়েটের কোনো এক নারী শিক্ষার্থী
শায়খ আহমাদুল্লাহকে প্রশ্ন করেন, মেয়েদের জন্য হুডি পরা জায়েজ হবে কি না? প্রশ্নের
জবাবে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন—
পৃথিবীতে
যত সৃষ্টি বা উপকরণ আছে
নারী-পুরুষের জন্য তা ব্যবহারের অফুরন্ত
সুযোগ দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। বেশির ভাগ জিনিসের ক্ষেত্রে হারাম কথাটি শুনতে শুনতে আমাদের মনে যেকোনো কাজের আগে তা হারাম নাকি
হালাল এ নিয়ে প্রশ্ন
জাগে। যেমন হুডি পরা নিয়েও প্রশ্নটি সামনে এসেছে।
তিনি বলেন,
আমরা অনেকেই হয়তো জানি না, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা হারামের তালিকা বা বিবরণ দিয়েছেন।
কিন্তু তিনি হালালের কোনো তালিকা দেননি। হারামের তালিকা দেওয়ার কারণ হলো, নির্বাচিত
কিছু জিনিস হারাম। এর বাইরে বাকি জিনিসগুলো হালাল।
তিনি
বলেন, ইসলামী ফিকহের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মানুষের জন্য সৃষ্টি জগতের সব হালাল, শুধু
যেগুলো আল্লাহ তায়ালা নিষেধ করছেন তা ছাড়া বাকি
সবই হালাল।
শায়খ
আহমাদুল্লাহ বলেন, কোরআনে আল্লাহ তায়ালা যা হারাম বলেছেন
এর বাইরে যা আছে সবই
হালাল। ঠিক একইভাবে পোশাকের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা কিছু মূল নীতি দিয়েছেন। যেমন ছেলেরা টাখনুর নিচে পোশাক পরবে না।
ইসলামী
বিধানের এই মূলনীতি অনুসরণ
করে কেউ চাইলে হুডি, জামা, চাদর, কানটুপি যা ইচ্ছা তাই
পরিধান করতে পারবেন। ইসলামী শরিয়ত এক্ষেত্রে ব্যক্তিকে অবারিত স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছে। এই মূলনীতির আলোকে
নারীরা চাইলে হুডি পরতে পারবেন। এতে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই।