জুলাই-আগস্টে
ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যা
মামলার আসামি জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ
ঘটনায় সম্পৃক্ত তার অনুসারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা
জজ কোর্টের আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস,
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, মিরপুর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) ও মিরপুর মডেল
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ নোটিশ পাঠান
হয়।
নোটিশ
প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে
তাদের গ্রেপ্তারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আইনজীবী সবুজ খান।
আইনি
নোটিশে বলা হয়, ৫ আগস্ট শেখ
হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেলেও জাতীয় পার্টি সদস্যদের ও শেখ হাসিনার
নামে অসংখ্য হত্যা মামলা হয়। তবে জাতীয় পার্টি কৌশল অবলম্বন করে গ্রেপ্তার এড়িয়ে যায়। কিন্তু বিগত আমলগুলো দেখলে ও বিগত হাসিনা
সরকারের শাসনামল দেখলে লক্ষ্য করা যায়, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে
স্বৈরাচারী সরকারের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কারণেই শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচন করেছে। জাতীয় পাটির ওপর ভর করে শেখ
হাসিনা জনগণের দিনের ভোট রাতে দিয়েছে এবং ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছে। শুধুমাত্র তথাকথিত বিরোধী দল থাকার জন্য
স্বৈরাচারের সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অবাধ লুটপাট করেছে। তাই সব অপরাধের দায়
তাদেরকেও নিতে হবে।
এতে
আরও বলা হয়, শেখ হাসিনাকে দিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য একতরফা নির্বাচন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রীরা হত্যা মামলার আসামি হয়ে জেলে গেলেও জাতীয় পার্টি অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছে। আইন সবার জন্য সমান হলেও জাতীয় পার্টির দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীদের তা এড়ানোর সুযোগ
তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। ১৪ দলের নেতারা
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হলেও জি এম কাদেরসহ
তার অনুসারীদের আইনের আওতায় নিয়ে না আসায় জুলাইয়ের
ছাত্র-জনতা মর্মাহত।
জি
এম কাদের মিরপুর মডেল থানার এজাহারনামীয় আসামি। অথচ তাকে এই মামলার আসামির
চোখে দেখা হচ্ছে না। দ্রুত হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করে শহিদদের আত্মার প্রতি সুবিচার করার অনুরোধ জানান আইনজীবী সবুজ খান।