ধানমণ্ডির একটি বাসায় অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
তারা দাবি করেছেন, কোটা আন্দোলনে দেশে যেসব নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা সব এসেছে ধানমণ্ডির ৫/এ সড়কের বাসাটি থেকেই ।
সিটিটিসি জানায়, কোটা আন্দোলনের নামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নাশকতা, সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ছিল এই অফিস থেকে। ঢাকা মহানগর কেন্দ্রীয় অফিস হিসেবে এই অফিসটি ব্যবহার করা হয়। আর এখান থেকে তহবিল সংগ্রহ ও সরবরাহ করা হতো।
শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকার ধানমণ্ডি সাতমসজিদ রোড সংলগ্ন ৫/এ অবসর ভবনে ওই আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে সিটিটিসি।
অভিযান শেষে ওই ভবনের ভেতরেই সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সিটিটিসির প্রধান আসাদুজ্জামান।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান , “ছয়তলা ‘অবসর’ ভবনের চার তলার অর্ধেকজুড়ে জসিম উদ্দিন নামে এক আইনজীবী ভাড়া নিয়ে চেম্বার করতেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর একজন নেতা। এখান থেকে গোপনে ঢাকা শহরে জামায়াতের সকল প্রকার কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো।”
তিনি আরো জানান , “জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর কেন্দ্রীয় অফিস হিসেবে এ অফিসটি ব্যবহার করা হয়। এ অফিসে অনেক আলামত পেয়েছি। সম্প্রতি নাশকতায় তারা যেসব দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করেছে, ভাঙচুর, নাশকতা ও পুলিশের ওপর আক্রমণে যেসব অস্ত্র ব্যবহার করেছে, সেগুলো এখান থেকে উদ্ধার করেছি।”
অফিসটি থেকে যেসব ডকুমেন্টস পাওয়া গিয়েছে তা থেকে তারা স্পষ্ট যে এখান থেকেই আন্দোলনের সমন্বয় করা হয়েছে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় হামলা করার যে চেষ্টা হয়েছিল, সেটিও এই অফিস থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল ।
কোটা আন্দোলনের নাশকতায় যারা তহবিল দিয়েছে, তাদের বেশ কিছু বড় অর্থদাতাদের নাম পেয়েছে সিটিটিসি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালামান রয়েছে।