× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ইরি-বোরো ধান ঘরে তুলতে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা কৃষকের

মাহফুজার রহমান মাহফুজ, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

১৫ মে ২০২৪, ১৫:৩৩ পিএম

দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা উপজেলা ফুলবাড়ী। এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষের জীবন ও জীবিকা কৃষি নির্ভর। উপজেলার কৃষকগণ বছরের দু'বার প্রধান ফসল হিসেবে জমিতে ধান চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। জমিতে ধান চাষাবাদ করতে গিয়ে কখনো তীব্র শীত,কখনো প্রবল খরা কখনো আবার বন্যার সাথে লড়াই চলে এ অঞ্চলের কৃষকদের। 

এবারের ইরি-বোরো মৌসুমে জমিতে ধান চাষাবাদ করতে গিয়ে কম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না কৃষকদের। জমিতে চারা রোপণের সময় ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়তে হয় ধান চাষিদের। কিন্তু এ অঞ্চলের অদম্য কৃষকরা সব প্রতিকূলতাকে অগ্রাহ্য করে জমিতে ধানের চারা রোপনের কাজ শেষ করেন। ভালো ফলনের আশায় বুক বেধে ধান খেতের পরিচর্যা করেন। দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পরে স্বপ্নের সোনালী ফসল ঘরে তোলার সময় এখন। কিন্তু আবারো বাধ সেধেছে প্রকৃতি। সারাদিনের প্রখর রোদ আর তীব্র গরমে খেতের ধান কাটতে গিয়ে চিন্তার ভাঁজ কৃষকের কপালে। গরমে মাঠে টিকে থাকাই দায় হচ্ছে কৃষি শ্রমিকদের। শ্রমিকরা বলছেন, গরম থেকে রেহাই পেতে ভোরবেলাতেই কাঁচি হাতে মাঠে যেতে হচ্ছে তাদের।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চলতি ইরি বোরো মৌসুমের পাকা ধান কাটা মাড়াই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষক- শ্রমিকদের। তবে কাঠফাটা রোদ ও গরমে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেকে।

উপজেলার শাহবাজার এলাকার কৃষক শাহজাহান আলী জানান, তিনি এবারে ২৩ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছেন। তাঁর প্রায় সব জমির ধান পেকেছে। কিছু জমির ধান কেটেও নিয়েছেন। ধান কাটার জন্য শ্রমিকরা কাজ করতে আসলেও গরমের চোটে বেশিক্ষণ মাঠে কাজ করতে পারছেন না। ফলে জমির পাকা ধান নিয়ে চিন্তার কথাও জানান তিনি। উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ঘোগারকুটি এলাকার কৃষক রোস্তম আলী বকসী এবং ধনিরাম এলাকার ইসরাইল হোসেন বলেন, এবারে ধানের খেতে গেলে ফলন দেখে মন জুড়িয়ে যায়। তবে গরমের কারণে পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। গরমের অজুহাত দেখিয়ে দামও বেশি চাচ্ছে। 

এদিকে ধান কাটার জন্য বেশি টাকার নেয়ার কথা মানতে নারাজ কৃষি শ্রমিকরা। উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা এলাকার শ্রমিক জাবেদ আলী বলেন, আমরা দশ জন শ্রমিক মিলে ধান কাটার একটা দল করেছি। বেলা দশটার পরে রোদের চোটে মাঠে কাজ করতে পারিনা। তাই পেটের দায়ে ভোরবেলায় কাঁচি হাতে আমাদের মাঠে যেতে হয়। দশজনে গরম উপেক্ষা করে কোনমতে বিঘা তিনেক জমির ধান কাটতে পারি। প্রতিবিঘা জমির ধান কাটতে আমরা ২ হাজার ৪০০ করে টাকা নিচ্ছি। এতো কষ্ট করে কাজ করে যে টাকা পাই তাতে আমাদের পোষায় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন জানান, উপজেলায় এবারে ১০ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা বিভিন্ন জাতের ধানের চাষাবাদ করেছেন। বর্তমানে উপজেলা জুড়ে ধান কাটা মাড়াইয়ের মহোৎসব চলছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বোরোধান চাষে অধিক ফলন হয়েছে। জমির পাকা ধান দ্রুত কেটে নেয়ার জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। 

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । সম্পাদক: 01703-137775 । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.