ভাষা, ভালোবাসা আর বসন্ত দিবস উপলক্ষে সাভারের গোলাপ গ্রামে চাষিরা কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন। বাগানে ফুলের ভালো ফলন হওয়ায় আর দর্শনার্থীদের ভিড়ে চাষীদের মনে বইছে আনন্দের হিল্লোল।
আকাশে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিলো নেশা, কারা যেন ডাকিলো পিছু, বসন্ত এসে গেছে...
এভাবেই গোলাপ বাগানের পাশ থেকে এ তরুণীদের মিষ্টি কণ্ঠে ভেসে আসছে বসন্তের আগমনী গান।
সাভারের বিরুলিয়ায় বাগান গুলোতে লাল টকটকে ফুটে থাকা গোলাপ বাতাসে যেমন দোল খাচ্ছে। তেমনি সৌন্দর্য্য প্রেমী দর্শনার্থীরা ভালোবাসার আবেগে হচ্ছে হিন্দোলিত। সবুজ পাতায় লাল গোলাপের বাহারি দৃশ্যপট অবলোকন করছেন তারা। নিজেদের মুঠোফোনে ধারণ করে নিচ্ছেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যের আকর্ষীয় মুহুর্ত গুলো।
তারা জানান, এখানে ঘুরতে এসে গোলাপের অপূর্ব নানন্দিক দৃশ্য উপভোগের পাশাপাশি কম দামে তাজা গোলাপ কিনতে পেরে খুশি দর্শনার্থীরা।
বসন্তের শুরুতেই প্রকৃতিতে যেমন লেগেছে বাসন্তী ছোঁয়া। তেমনি ভাষা ও ভালোবাসা দিবস ঘিরে বাড়তি লাভের আশায় বুক বেঁধে আছেন গোলাপ গ্রামের চাষীরা। তাইতো
দিবসের আগে গোলাপের ভালো দাম পেতে বাগান গুলোর বাড়তি পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা। তবে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাণিজ্যিক ভাবে বিদেশে ফুল রপ্তানি করে তারা আরও বেশি লাভবান হতেন বলে জানান চাষীরা।
এদিকে ভাষা ও ভালোবাসা দিবস সামনে রেখে স্থানীয় ফুলের দোকান গুলোতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব দোকানে বিক্রি হচ্ছে ফুলের তোরা, মালা, কানের দুল ও মাথার রিংসহ বাহারি ফুল।
উল্লেখ্য, উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, গোলাপ গ্রাম খ্যাত সাভারের বিরুলিয়ায় প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতো গোলাপ ছাড়াও রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাসসহ নানা প্রজাতির ফুল চাষ হয়। এর মধ্যে ২৩০ হেক্টর জমিতেই বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হয় কয়েক প্রজাতির গোলাপ।
চলতি মৌসুমেই সব ঠিক থাকলে প্রায় ৪০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।