বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার মহোৎসব। সোনালী ধানে স্বপ্ন বুনছে কৃষকের পরিবার।
বাড়ির আঙিনায় নতুন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত দিন পার করছেন কৃষকেরা এক দিকে ধান কাটা আর অন্য দিকে ধান মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত আছেন তারা।
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ নিয়ে মাঠে কাজ করছেন কৃষকেরা। খেতে কেউ ধান কাটছে কেউবা ধানের আঁটি বাঁধছে। আবার কেউ ধানের আঁটি মাথায় নিয়ে উঠানে তুলছে। ধান মাড়াই করে শুকিয়ে নিচ্ছেন কৃষকদের পরিবারেরা।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জমির ফলন ভালো হয়েছে। ভালো ফলনে কৃষকের মুখে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি। হাটে-বাজারে ধানের দাম একটু কম থাকায়। কৃষকরা লাভের কথাই ভাবছেন তাঁরা।
উপজেলার আলিনগর এনায়েতনগর বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের কৃষকরা বলেন, বিগত বছর দেশি আমন ধানর চাষ করে ভালো ফলন পাইনি কিন্তু এবছর ৪০ শতাংশ জমিতে বিনা ধান ৮৭ চাষ করে গত বছরের চেয়ে ভাল ফলন পেয়েছি। বাজারে ধানের দর আসাকরি ভাল চাই, লোকসান গুনতে না হয়।
এনায়েতনগরের কালাই সরদার চরের আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগীতায় আমি দুই বিঘা জমির বেশি বিনা ৮৭ জাতের ধান চাষ করে, প্রতি বিঘা জমিতে ১৭ থেকে ১৮ মন ধান পেয়ে আমার পরিবারের সবাই খুবই খুশি।
উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর বায়ের বলেন এ বছর 'বিনা ধান ৭৫ ও বিনা ধান ৮৭ ধান চাষ করে কৃষকরা জমিতে অনেক ভাল ফলন পেয়েছেন, এই ধান বীজতলা থেকে ১২৭ দিনের মধ্যে ঘরে তুলতে পারেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব মিল্টন বিশ্বাস বলেন, এবছর কালকিনি উপজেলা কৃষি বিভাগের আওতায় উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার ৪শত হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে,এতে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪১৮৭৫ মেট্রিক টন, আমাদের লক্ষ্য মাত্রার চেয়েও অধিক ফসল উৎপাদন হবে বলে প্রকাশ। আলিনগর পূর্ব এনায়েতনগর বাঁশগাড়ী ইউনিয়নসহ আরো অন্যান্য অঞ্চলে বিনা ধান ৮৭ ও বিনা ৭৫ জাতের নমুনা শস্য কর্তনে ফলন খুবই ভাল হয়েছে এর মধ্যে দিয়ে আমাদের নবান্নের উৎসব শুরু হয়েছে। আমরা বিনা ৮৭ জাতের চাষ ছরিয়ে দিতে পারিলে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা অনেকটা নিশ্চিত হবে।