গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
এর বিচারের দাবিতে সকাল ছয়টা থেকে ঢাকা খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা। এতে ওই মহাসড়কের আট কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানযটের সৃষ্টি হয়েছে।
ওই শিক্ষার্থী বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে গণধর্ষণের
শিকার হন।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী তার বন্ধুর সাথে গোপালগঞ্জ সদরের নবীনবাগ হেলিপ্যাডের সামনে থেকে হেঁটে মেসে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ
একটি ইজিবাইক তাদের পথ আটকে ধরে। পরে জোরপূর্বক ওই ইজিবাইকে তাদেরকে তুলে নেওয়া হয়। তাদেরকে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে
যাওয়া হয়। সেখানে ৭ থেকে ৮ জন দলবদ্ধ
হয়ে ওই শিক্ষার্থীর সাথে থাকা তার সহপাঠী
বন্ধুকে মারধর করে এবং ঐ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান বলেন, এ খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছি এবং আমি নিজে এঘটনায় বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছি।
ঘটনার পর থেকে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা থানা ঘেরাও ও সকাল ছয়টা থেকে ঢাকা খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা । সে সময় মহাসড়কে গাছের গুড়ি ও টায়ার জালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থী । এ সময় আট কিলোমিটার রাস্তায় যানযটের সৃষ্টি হয় ।
শিক্ষার্থীরা বলেন ,গতকাল রাতে আমরা থানায় গিয়েছিলাম ৬ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম।
কিন্তু প্রশাসন ব্যর্থ হওয়ায় আমরা মহসড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি । সব আসামী গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের মহাসড়ক অবরোধ অব্যহত থাকবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ
অ্যান্ড অপারেশন) নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়েছে। আমাদের টিম ইতিমধ্যে অভিযান শুরু করেছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা
আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।
ধর্ষণের সাথে জড়িত সন্দেহে হরিজন সম্প্রদায়ের দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সম্প্রদায়ের লেঅকজন গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মেইনগেটের সামনে ময়লার স্তূপে ফেলে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বলে সরজমিনে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। অভিযান অব্যহত রয়েছে । ওই শিক্ষার্থীকে মেডিকেল চেকআপের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর গণধর্ষনের সত্যতা জানা যাবে ।