নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায় বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নদী থেকে বালু উত্তোলনের নামে পেশি শক্তির জোরে ফসলি জমির মাটি কাটার অভিযোগে উঠেছে। এ বিষযে নওগাঁর আদালতে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেও মামলাও দায়ের করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দ্ব্যার্থ কণ্ঠে এসব কথা জানান স্থানীয়রা।
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব আইনজীবি শাহানূর ইসলাম সৈকত জনস্বার্থে ১৪ ফেব্রুয়ারি নওগাঁর আমলী আদালতে বিষয়টি উত্থাপন করেন। জনসাধারণের স্বার্থে আদালত অভিযোগটি আমলে নেন। বিচারক মো. সরোয়ার জাহান এ বিষয়ে দ্রুত আদেশে দেবেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদী বালু শুন্য হলেও সরকারিভাবে লিজ প্রক্রিয়া এখনো বন্ধ হয়নি। নদীতে বালু না থাকায় লিজের নামে পেশি শক্তির জোরে আশেপাশের ফসলি জমির মাটি কাঁটছেন বালু ব্যবসায়ীরা। নদীর দু’পারের তিন ফসলি জমি রয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত জমিগুলোর মাটি কেঁটে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে আশপাশের অন্যান্য ফসলি জমিগুলোও ভেঙে পড়ছে।
সাইফুল নামে এক কৃষক জানান, কৃষকরা জমির মাটি কাঁটায় বাঁধা দিলে ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন সরকারিভাবে আদেশ নিয়েই নাকি তাঁরা মাটি কাটছেন। জমিতে ফসল আছে কিনা তা নাকি তাঁদের দেখার বিষয় না। এমনটাই বলছেন ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরো জানান, মালিকানা জমিগুলোও ক্ষতির মুখে পড়ছে। ব্যবসায়ীরা কোনো বাঁধা নিষেধেরই তোয়াক্কা করেন না।
হাবিল নামে আরেক কৃষক জানান, ওই মোজায় তাঁর পিতার নামে ৮৫ শতক জমি চিরস্থায়ী পত্তন নেওয়া আছে। সেগুলোর খাজনা খারিজের হালনাগাদও রয়েছে। সেসব ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
ভুক্তভোগীরা জানান, ভূমি অফিসসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নওগাঁ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি তাঁরা।
শাহানূর বলেন, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে ওই এলাকার ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে কাঁটার বিষয়টি নজরে এসেছে। জনস্বার্থে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯০ ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত দ্রুত আদেশ দেবেন।