ছবিঃ সংগৃহীত।
ভূমি অধিগ্রহনের পর দ্রুত এগিয়ে চলছে বিসিআইসির ৩৪টি বাফার সার গুদাম নির্মাণের কাজ। দেশব্যাপী ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের ইতিমধ্যে ৩২টি গুদামের জন্য জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়েছে। ১০টির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পে বারবার প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তন হওয়া, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা এবং ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) অনুযায়ী যথাসময়ে অর্থ বরাদ্দ, ছাড় ও ব্যয় না হওয়া এবং নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রকল্পের কাজে ধীরগতি ছিলো।
বর্তমান প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুরুল হক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রকল্প প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এই প্রকল্পে তিনজন পিডি পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. মঞ্জুরুল হক সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ছয় বছর আগে সার সংরক্ষণে ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। দীর্ঘ এ সময়ে জমি অধিগ্রহণসহ নানা সমস্যার কারণে নির্মাণকাজই শুরু হতে দেরি হয়। আপদকালীন ৮ লাখ মেট্রিক টন সারের মজুত নিশ্চিতকরণ ও দেশে সারের মজুত সুনিশ্চিত করে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের উদ্দেশ্যে এবং সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে বিসিআইসি সারাদেশের সাত বিভাগের ৩৪ জেলায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার।
মূল অনুমোদিত প্রকল্পটি সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে জুন ২০২১ নাগাদ বাস্তবায়নের কথা ছিল। করোনাসহ নানা প্রতিকূলতার কারণে পরে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই মেয়াদ জুন ২০২২ নাগাদ বাড়ানো হয়। ২০২৩ সালে নতুন করে জুন ২০২৫ নাগাদ মেয়াদ বাড়ানো হয়। ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৪৮২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা (সংশোধিত)। প্রকল্পটি দেশের ৩৪টি জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের মেয়াদ ব্যয়বৃদ্ধি ব্যতিরেকে আরো দুই বছর বৃদ্ধি করা হলে প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে প্রকল্প পরিচালক জানান। ৫ আগস্টের পূর্বে ৪টি গুদামের কাছ শুরু হয়।
বর্তমানে ১০টি গুদামের কাজ চলমান রয়েছে। মূল ডিপিপি অনুমোদনের প্রায় তিন-চার বছর পর জমির মূল্য পরিশোধের চাহিদাপত্র পাওয়া যায়। প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি, রেলওয়ের জমি, খাসজমি, নদী শ্রেণির জমি, রাস্তা সংক্রান্ত জটিলতা, জনপ্রতিনিধিদের স্থান পরিবর্তনের প্রস্তাব ইত্যাদি জটিলতা ছিল। কিছু কিছু জায়গার মালিকের জমি অধিগ্রহণ প্রত্যাহারের আবেদন ও নিষ্পত্তিতে সময় ব্যয় হয়েছে বিধায় জমি অধিগ্রহণ বিলম্বিত হয়েছে। এছাড়া এ প্রকল্পের একাধিক প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের অগ্রগতি মন্থর হয়েছে বলে জানা যায়। এই প্রকল্পে ইতিমধ্যে এপ্রিল পর্যন্ত ৩৮৩ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে, যার মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণে ৩৩০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh