সাংবাদিক
দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি
হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি ডিবির কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এ কারণে মামলার
তদন্ত শেষ করতে আরও ৬ মাস সময়
দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
আজ
(২২ এপ্রিল) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার
মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই তথ্য উপস্থাপন
করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।
তিনি
আদালতকে জানান, গত বছরের ৫
আগস্ট ডিবি কার্যালয়ে ঘটে যাওয়া আগুনে মামলার সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। ফলে তদন্তের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে
তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর
আগে, সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার সময় ১১৬ বার পিছিয়েছে। সর্বশেষ প্রতিবেদন জমার তারিখ নির্ধারণ ছিল গত ১৫ এপ্রিল।
গত
বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট
এক আদেশে মামলার তদন্তের দায়িত্ব র্যাবের কাছ থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে গঠিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত পরিচালনার নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের করা আদেশ সংশোধনের (মোডিফিকেশন) আবেদনের প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেন
আদালত।
উল্লেখ্য,
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর
পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের
বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। হত্যাকাণ্ডের সময় বাসায় উপস্থিত ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের শিশু ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ।
ঘটনার
পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তৎকালীন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে
হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে। কিন্তু এক যুগ পেরিয়ে
গেলেও এই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের
রহস্য আজও উদ্ঘাটন হয়নি।