রাজধানীর কলাবাগানের হাতিরপুল এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে পিনাক রঞ্জন সরকার (২৪) নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আজ (২২ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত পিনাক রঞ্জন সরকারের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার টিএন রায় রোডে। রাজধানীর হাতিরপুল এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে বন্ধু ও রুমমেট জাহিদের সঙ্গে থাকতেন তিনি।
জাহিদ জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে পিনাক আমাকে একটি মেসেজ পাঠিয়ে বাসায় না আসার অনুরোধ করে। এরপর মেসেঞ্জারের স্টোরিতে সে লেখে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। আমরা দুজন মিলে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতাম—পিনাক একটি রুমে থাকত, আমি ড্রয়িং রুমে। আরেকটি রুম ফাঁকা ছিল।
রাতের দিকে আমি অফিস থেকে ফিরে এসে দেখি ফাঁকা রুমটির দরজা ভেতর থেকে লক করা। অনেকবার ধাক্কাধাক্কি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে আমি ৯৯৯-এ ফোন করি। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় পিনাককে ঝুলন্ত অবস্থায় পায়। এরপর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জাহিদ আরও জানান, পিনাক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগে মাস্টার্সের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি বিদেশে স্কলারশিপের জন্যও চেষ্টা করছিলেন। প্রায় এক মাস ধরে তাকে বিষণ্ণ লাগছিল, তবে এমন কিছু করবে, তা আমরা বুঝতেই পারিনি। এমনকি গতকাল সকালেও বাবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথা বলেছে, বলেন জাহিদ।
কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইকবাল হোসেন জানান, ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে আমরা হাতিরপুল এলাকার একটি ফ্ল্যাটে যাই এবং সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।