বৈষম্যবিরোধী
আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখারপুলে সংঘটিত গণহত্যার মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ৫ আগস্টের ওই
নৃশংস ঘটনার তদন্ত শেষে এটি জুলাই-আগস্ট গণহত্যা বিষয়ে দাখিলকৃত প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন।
আজ
(২১ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে
এই তথ্য জানান চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, চানখারপুল গণহত্যা মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার
হওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন এবং কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম। এ ছাড়া মামলার
আরও কয়েকজন অভিযুক্ত, যাদের মধ্যে অন্যতম সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, এখনও পলাতক।
গতকাল
(২০ এপ্রিল) দীর্ঘ ১৯৫ দিন তদন্ত শেষে এই মামলার ৯০
পৃষ্ঠার বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়। তদন্ত অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে
৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়কালে এই হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত
হয়েছে।
ওতাজুল
ইসলাম জানান, মামলার তদন্তে ৪৫ জনের সংশ্লিষ্টতার
প্রমাণ পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের এবং ১৪ দলের একাধিক
নেতা। তিনি বলেন, গণহত্যা, পরিকল্পিত সহিংসতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ
সংঘটনের যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে। অভিযুক্তরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনগণের ওপর সহিংসতা চালিয়েছেন।
প্রসিকিউটর
আরও দাবি করেন, শেখ হাসিনার একটি কল রেকর্ডে গুলি
চালানোর নির্দেশ দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার নির্দেশে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তা এই সহিংসতায় সক্রিয়ভাবে
অংশ নেন।
তিনি
জানান, আসামিরা যদি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ না করেন, তাহলে
রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের জন্য আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হবে।