বাংলাদেশের
রাজধানী
ঢাকায় অনুষ্ঠিত
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির
জন্য আন্তরিক
কৃতজ্ঞতা
ও ধন্যবাদ
জানিয়েছেন
বাংলাদেশে
নিযুক্ত
ফিলিস্তিনের
রাষ্ট্রদূত
ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান।
আজ (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর
আলম চৌধুরীর
সঙ্গে সাক্ষাৎকালে
তিনি এ কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত
বলেন, আরব বিশ্বসহ
অনেক মুসলিম দেশ যেখানে ব্যর্থ হয়েছে, বাংলাদেশ
সেখানে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনের
ভাইবোনেরা
জানতে চায়, নিশ্চয়ই
এমন কোনো বিশেষ কারণ রয়েছে যার ফলে বাংলাদেশের
জনগণ ইসরায়েলের
বর্বরতা
ও নিপীড়নের
বিরুদ্ধে
এত বড় ও শক্তিশালী
প্রতিবাদ
সমাবেশ করেছে।
জবাবে
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা
জানান, বাংলাদেশের
জনগণ সবসময় ফিলিস্তিনের
নিপীড়িত
মানুষের
পাশে থেকেছে এবং থাকবে। বাংলাদেশের
মুসলমানরা
সত্যিকারের
ধর্মপরায়ণ,
যারা মানবতা ও ন্যায়ের
পক্ষে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের
স্বাধীনতা
ও সার্বভৌমত্বের
প্রশ্নে
বাংলাদেশ
বরাবরই স্পষ্ট অবস্থান
নিয়েছে।
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিও
তারই প্রতিফলন।
সাক্ষাৎকালে
‘মার্চ ফর গাজা’ ছাড়াও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ
বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল ফিলিস্তিন
টিভির প্রতিনিধিদলের
বাংলাদেশ
সফর, আল আকসা মসজিদের
নামে স্মারক পাসপোর্ট
ইস্যু, এবং পারস্পরিক
সহযোগিতা
বৃদ্ধির
বিভিন্ন
দিক। রাষ্ট্রদূত
জানান, আগামী ১৭ মে ফিলিস্তিন
টিভির একটি প্রতিনিধি
দল বাংলাদেশ
সফর করবে। তারা এখানে ফিলিস্তিনের
প্রতি বাংলাদেশের
সমর্থনের
চিত্র তুলে ধরতে তথ্য সংগ্রহ করবে এবং পরে একটি প্রামাণ্যচিত্র
নির্মাণ
করবে, যা ফিলিস্তিন
টিভিতে সম্প্রচারিত
হবে।
এ
সময় রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের
পক্ষ থেকে আল আকসা মসজিদের
নামে একটি স্মারক পাসপোর্ট
ইস্যুর অনুরোধ জানান। জবাবে স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা
বলেন, প্রধান উপদেষ্টার
কার্যালয়সহ
সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের
অনুমোদন
নিয়ে বিষয়টি বাস্তবায়ন
করা হবে।
বৈঠকে
আরও উপস্থিত
ছিলেন স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের
জননিরাপত্তা
বিভাগের
অতিরিক্ত
সচিব (রাজনৈতিক
ও আইসিটি) খন্দকার
মো. মাহাবুবুর
রহমান, সুরক্ষা
সেবা বিভাগের
অতিরিক্ত
সচিব (নিরাপত্তা
ও বহিরাগমন)
শামীম খান এবং অন্যান্য
সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তা।