সাংবাদিক
দম্পতি সাগর সারোয়ার
ও মেহেরুন
রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
দাখিল আবারও পেছালো।
আজ (১৫ এপ্রিল) মামলার প্রতিবেদন
দাখিলের
দিন ধার্য থাকলেও র্যাপিড
অ্যাকশন
ব্যাটালিয়ন
(র্যাব) তা দাখিল করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ঢাকার মেট্রোপলিটন
ম্যাজিস্ট্রেট
এম. এ আজহারুল
ইসলাম আগামী ২১ মে নতুন দিন ধার্য করেছেন।
এই
নিয়ে আলোচিত মামলাটিতে
প্রতিবেদন
দাখিল পেছালো ১১৭ বার।
২০১২
সালের ১১ ফেব্রুয়ারি
রাতে রাজধানীর
পশ্চিম রাজাবাজারের
ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে
খুন হন মাছরাঙা
টেলিভিশনের
বার্তা সম্পাদক
সাগর সারোয়ার
এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ
প্রতিবেদক
মেহেরুন
রুনি। পরদিন ভোরে বাসা থেকে তাঁদের ক্ষতবিক্ষত
মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হত্যার
পরদিন নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা
নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। শুরুতে মামলার তদন্ত দায়িত্বে
ছিলেন থানার এক এসআই। চার দিন পর তদন্তভার
দেওয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা
পুলিশ (ডিবি)-কে। তবে দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করেও হত্যার রহস্য উদঘাটনে
ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের
নির্দেশে
মামলাটির
তদন্তভার
২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল র্যাবের কাছে হস্তান্তর
করা হয়।
তবে
দীর্ঘ ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও র্যাব এখনো পর্যন্ত
তদন্ত প্রতিবেদন
আদালতে দাখিল করতে পারেনি।
মামলার
আসামি রয়েছেন মোট আটজন। তাদের মধ্যে রয়েছেন রুনির বন্ধু তানভীর রহমান, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী
এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন
কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা
মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল এবং আবু সাঈদ।
আসামিদের
একাধিকবার
রিমান্ডে
নেওয়া হলেও কেউই স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি
দেননি। ফলে বিচার প্রক্রিয়াও
দীর্ঘ সময় ধরে পিছিয়ে যাচ্ছে।
সাংবাদিক
সমাজ ও সাধারণ জনগণের কাছে বহুল চাঞ্চল্যকর
এই হত্যাকাণ্ডের
বিচার ও রহস্য উদঘাটনের
দাবিতে দীর্ঘদিন
ধরেই চলছে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ।