শুধু অতীতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রাখা নয়, বরং ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাজ্য। সম্প্রতি ঢাকায় সফরকালে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত রোজি উইন্টারটন।
তিনি জানান, ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য ২ বিলিয়ন পাউন্ডের 'ইউকে এক্সপোর্ট ফান্ড' থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তবে এই বিনিয়োগ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে অবশ্যই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমাতে হবে, যাতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও সহজ হয়।
এর আগে রোজি উইন্টারটন ঢাকায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নেন এবং সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন। পরে তিনি যমুনা টেলিভিশনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে স্বৈরাচার পতনের ঘটনাগুলো তাকে বিস্মিত করেছে। পাশাপাশি, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়দানের বিষয়েও তিনি বাংলাদেশের ভূমিকাকে প্রশংসাযোগ্য বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্যের সম্ভাবনা তুলে ধরে উইন্টারটন বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে, যেখানে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর কাজের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি, তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, এভিয়েশন, শিক্ষা ও প্রতিরক্ষা খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সুযোগ থাকার কথাও জানান।
সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের ইউকে এক্সপোর্ট ফান্ডের ২ বিলিয়ন পাউন্ডের বিনিয়োগ সম্ভাবনা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় সুযোগ হতে পারে। এছাড়া, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ ঘটালেও, ২০২৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের জন্য কম শুল্কহার সুবিধা বজায় রাখবে বলেও জানান তিনি।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানোর প্রসঙ্গে উইন্টারটন বলেন, বিনিয়োগকারীরা স্থিতিশীলতা খোঁজেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করছে। এটি ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের জন্যও একটি ইতিবাচক বার্তা।