ঢাকার
আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের শীর্ষ সর্দার মো. খোরশেদ ওরফে ‘বোমা খোরশেদ’ (৫৩) কে গ্রেপ্তার করেছে
রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আজ
(১৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে
এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন।
গ্রেপ্তার
খোরশেদ রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের হরিণধরা গ্রামের আব্দুল মন্ডলের ছেলে। পুলিশের ভাষ্য, তিনি একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার, যার নেতৃত্বে রাজবাড়ীসহ আশপাশের জেলায় একের পর এক ডাকাতি
সংঘটিত হতো।
পুলিশ
সুপার জানান, ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে
২০২৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
রাজবাড়ী সদর ও বালিয়াকান্দি থানায়
মোট চারটি বড় ধরনের ডাকাতির
ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোর তদন্তে ডিবি পুলিশের একটি দল মাঠে নামে।
তথ্যপ্রযুক্তি
বিশ্লেষণ ও গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে জানা যায়, এসব ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও নেতৃত্বে ছিলেন
মো. খোরশেদ। এই মামলাগুলোর তদন্তে
ইতোমধ্যে কালু হাওলাদার ওরফে ‘কালু ডাকাত’সহ ছয়জন পেশাদার
ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কালুর বিরুদ্ধে ৩২টি মামলা এবং অন্যদের বিরুদ্ধেও একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে।
এর
মধ্যে দুইজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক (ধারা ১৬৪) জবানবন্দিতে বলেন, বোমা খোরশেদ ছিলেন ডাকাতির ‘মাস্টারমাইন্ড’ এবং তাদের লিডার।
পুলিশ
সুপার আরও জানান, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে
ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার আশুলিয়ার
ইসলাম নগর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে খোরশেদকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার
কাছ থেকে ডাকাতির লুণ্ঠিত ৪০ হাজার টাকা,
পাঁচ আনা ওজনের এক জোড়া কানের
দুল এবং দুই আনা ওজনের একটি আংটি উদ্ধার করা হয়।
খোরশেদের
বিরুদ্ধে রাজবাড়ীসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে আটটি ডাকাতির মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান শামিমা পারভীন।
সংবাদ
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাংশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দেবব্রত সরকার, ডিআইও-১ আব্দুর রহিম,
সদর থানার ওসি মাহমুদুর রহমান এবং ডিবির ওসি মফিজুর রহমানসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।