রমজান মাসের শেষ শুক্রবার (জুমাতুল বিদা) উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই মসজিদটি পূর্ণ হয়ে যায়, এবং মুসল্লিরা খুতবার পূর্বে নফল নামাজ, তসবি পাঠ, দুয়া এবং কোরআন তেলাওয়াত করে সময় কাটাচ্ছেন।
আজ (২৮ মার্চ) দুপুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা যায়, বেলা ১২টার আগেই মুসল্লিরা মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করতে শুরু করেন, এবং সোয়া বারোটার মধ্যে মসজিদের প্রধান অংশ পূর্ণ হয়ে যায়। স্থান সংকুলান না হওয়ায়, মুসল্লিরা বাইরের বারান্দা ও দ্বিতীয়-তৃতীয় তলায় অবস্থান নেন। অনেক মুসল্লিকে বাইরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।
মুসল্লিরা বলেন, সাধারণত শুক্রবার মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে আজকের দিনটি—জুমাতুল বিদা বা রোজার শেষ শুক্রবার—আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
মোহাম্মদ আলী নামের এক মুসল্লি জানান, "আজকের দিনটি সব মুসলমানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে জুমাতুল বিদা দিনটি আরও বিশেষত্ব দিয়েছে। সবাই আগেভাগে মসজিদে চলে এসেছে, এবং আজ মসজিদে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য অন্য যে কোনও শুক্রবারের তুলনায় বেশি অনুভূত হচ্ছে।"
আরেক মুসল্লি, ইব্রাহিম বলেন, "রমজান মাসের প্রতিটি দিনের আমলই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আজকের দিনটি আলাদা। জুমাতুল বিদার গুরুত্ব অন্য যে কোনও দিনের চেয়ে বেশি। তাই সবাই আগেভাগে মসজিদে এসে নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি নিয়েছি। আজ মসজিদে উপস্থিতি এবং একাগ্রতা অনেক বেশি অনুভূত হচ্ছে। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, যেন তিনি আমাদের সবাইকে ক্ষমা করেন এবং আমাদের জীবনকে বরকতময় করেন।"
এটি মূলত রমজানের শেষ জুমা, যা জুমাতুল বিদা হিসেবে পরিচিত। যদিও কোরআন ও হাদিসে এই দিনের বিশেষ কোনো ফজিলতের উল্লেখ নেই, তবে জুমার দিন এবং রমজানের শেষ শুক্রবার হওয়ায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমল ও ইবাদত করা উচিত। আলেমরা বলেন, জুমাতুল বিদা উপলক্ষে কোনো বিশেষ আমল করা ঠিক নয়, তবে অন্যান্য জুমার মতো তাড়াতাড়ি মসজিদে গিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া, তাসবিহ এবং তাহলিলসহ বেশ কিছু ইবাদত করা যেতে পারে।