সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল আহসানকে দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ও পিবিআইপ্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, "হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হিসেবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল আহসান সাগর-রুনির বাসায় গিয়েছিলেন।" জিজ্ঞাসাবাদে জিয়াউল আহসান জানিয়েছেন, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের দিন সকাল ৮টার দিকে তিনি বাসায় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও জানান, "জিয়াউল আহসানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কিছু জানেন কি না, এবং মামলার তদন্ত নিয়ে তার কোনো বক্তব্য রয়েছে কি না।"
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জিয়াউল আহসানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এর আগে গত সোমবার বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং ৩০ ডিসেম্বর এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের একটি ভাড়া বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক এবং রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
প্রথমে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ এই মামলা তদন্ত করলেও, ৪ দিন পর তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল ডিবি ব্যর্থতা স্বীকার করে, এরপর আদালত র্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর পিবিআই র্যাবের কাছ থেকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং ২৩ অক্টোবর সাংবাদিক দম্পতির হত্যার তদন্তে চার সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। টাস্কফোর্সকে ছয় মাসের মধ্যে এই মামলা শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।