বাংলাদেশের
সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গত দুইদিন ধরে চলা মৃদু শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির
নিচে। শৈত্যপ্রবাহে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এর সঙ্গে বৃষ্টির মত ঝরছে শিশির।
আজ (১৫ জানুয়ারি) ভোর
৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫
ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর
আগে মঙ্গলবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৯ দশমিক
৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দু-দিন ধরে
১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে বলে জানিয়েছে জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়।
আজ (১৫ জানুয়ারি)
সকাল থেকেই দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার চাদরে
ঢাকা পড়েছে প্রান্তিক এ জেলা। বৃষ্টির
মতো ঝরছে বরফ শিশির। শহর ও গ্রামের সড়কগুলোতে
যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। কুয়াশার সঙ্গে হিম বাতাস ও বরফ শিশির
ঝরায় কমে গেছে মানুষের চলাচল। প্রয়োজনের বাইরে অনেকে বের না হলেও জীবিকার
তাগিদে নিম্ন আয়ের যানবাহনগুলোকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এমনিতে
টানা শীতের কারণে আয় রোজগার কমেছে
নিম্ন আয়ের মানুষদের। ঠিকমতো কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগে
পড়েছেন ভ্যান চালক, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিন
মজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষগুলো।
তারা
বলছেন, শীতের কারণে পরিবারে কারো না কারও জ্বর,
সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য রোগ লেগেই আছে। এদিকে আয় রোজগার কম,
আরেক দিকে রোগের চিকিৎসা সবমিলিয়ে পরিস্থিতি বিপাকে। এছাড়া শীতে কষ্ট পাচ্ছে গৃহপালিত পশুরাও। তাদের সুরক্ষায় রাখতে পুরোনো কাপড় কিংবা চটের ব্যাগ পরাতে হচ্ছে।
জেলার
প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ গণমাধ্যমকে বলেন, দু-দিন ধরে
তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রির ঘরে
এসেছে। এ তাপমাত্রায় মৃদু
শৈত্যপ্রবাহ বইছে। বুধবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫
ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৮
ডিগ্রি সেলসিয়াস। দু-দিন ধরে
১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।