সাবেক
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র
আটকের আরেক মামলাতেও খালাস পেয়েছেন। আজ (১৪ জানুয়ারি) বিচারপতি
মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন
আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর ফলে লুৎফুজ্জামান বাবরের মুক্তিতে আর কোনো বাধা রইল না।
এখন
কথা হচ্ছে কখন কারামুক্ত হবেন লুৎফুজ্জামান বাবর? প্রায় ১৭ বছর ধরে
কারাগারে রয়েছেন তিনি। এরমধ্যে কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছেন।
কারামুক্তির
বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বলেন, কারামুক্তির কাগজপত্র একটার পর একটা পাচ্ছি।
তবে সবগুলো এখনও এসে পৌঁছায়নি। আজ পৌঁছালে আজই
মুক্তি পাবেন তিনি।
এদিকে
ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের করা
আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন
আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা
করেন।
আদালতে
বাবরের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির খালাস চেয়ে এ আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি
জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। অন্য পাঁচজন আসামির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
বহুল
আলোচিত চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র
চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় গত ১৮ ডিসেম্বর
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মহসিন তালুকদার, এনামুল হক, রাজ্জাকুল হায়দারসহ ছয় আসামিকে খালাস
দেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
অন্য ছয় আসামির সাজা
কমিয়ে ১০ বছর করে
কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া ভারতের
বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াকে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
লুৎফুজ্জামান
বাবর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬
সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
অষ্টম
সংসদে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১২
জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ও ২০০৮ সালের
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে
নির্বাচনে লড়ে তিনি পরাজিত হন।