আইন
মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে
ভারতের ভুপালে ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি এবং স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে প্রশিক্ষণ
নেওয়ার জন্য অধস্তন আদালতের আরও ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ভূপাল যাচ্ছেন।
অনুমতিপ্রাপ্ত
বিচারকরা আগামী ১০ থেকে ২০
ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।
সুপ্রিম
কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমতি দেওয়া
হয়েছে জানিয়ে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি
বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।
প্রশিক্ষণের
জন্য সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও জজ, অতিরিক্ত
জেলা ও দায়রা জজ,
জেলা ও দায়রা জজ
এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১০ থেকে ২০
ফেব্রুয়ারি ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি ভুপাল এবং একটি স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫০ জন বিচার
বিভাগীয় কর্মকর্তাককে অনুমতি দেওয়া হলো।
প্রশিক্ষণের
যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই।
উল্লেখ্য,
২০১৭ সালের এপ্রিলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ানোর
লক্ষ্যে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ওই
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর একই বছরের
২৯ জুলাই এক অনুষ্ঠানে তত্কালীন
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছিলেন, পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে একটি জুডিসিয়ারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ট্রেনিংয়ের জন্য। ভুপালে তাদের জাতীয় জুডিসিয়ারি একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১৫-১৬শ বিচারকের
ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।
এরপর
প্রথমবারের মতো ওই বছরের ১০
অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত
প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। পর্যায়ক্রমে ইতোমধ্যে অনেক বিচারক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এ চুক্তি আওতায়।