রাষ্ট্র সংস্কার
কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে গঠিত ছয় সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন
সরকার।
গতকাল (২
জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন,
পুলিশ সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন, সংবিধান সংস্কার কমিশন ও বিচার বিভাগ
সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর
মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও সংবিধান সংস্কার
কমিশন তাদের প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত
সময় পেয়েছে।
আর
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত
সময় দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন
ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার
কমিশন গঠন হয়েছিল ৩ অক্টোবর। এই
পাঁচ কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ৯০ দিন সময়
দেওয়া হয়েছিল। সে হিসেবে ২
জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমার কথা ছিল।
আর
সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছিল ৬ অক্টোবর। ৫
জানুয়ারির মধ্যে এ কমিশনের প্রতিবেদন
জমা দেওয়ার কথা ছিল।
এ
ছয় কমিশন ওয়েবসাইট খুলে মতামত সংগ্রহ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, মতবিনিময়, জরিপ ও লিখিতভাবে মতামত
সংগ্রহ করেছে। সুপারিশমালা প্রস্তুতে এসব প্রস্তাব ও মতামত পর্যালোচনা
করে প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ
সচিব শেখ আবদুর রশীদ স্বাক্ষরিত কমিশনগুলোর সময় বাড়ানোর এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে
কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
গত
১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে গঠন করা হয় গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য,
শ্রম, নারী বিষয়ক ও স্থানীয় সরকার
সংস্কার কমিশন। প্রতিবেদন দিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
সময় পাচ্ছে তারা।
উল্লেখ্য,
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক সচিব সফর রাজ হোসেন। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্থার কমিশনের প্রধান সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক এবং
নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার
বিশেষজ্ঞ ড. বদিউল আলম
মজুমদার। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবুল নাঈম মমিনুর রহমান।