তীব্র শীতে
কাঁপছে বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকায় আজ সকাল ১০টা পেরিয়ে গেলেও নেই সূর্যের দেখা। জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে স্থবিরতা।
বেলা বাড়লেও
দেখা নেই সূর্যের। এমন অবস্থায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে
হেডলাইট জ্বালিয়ে। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার ঘনত্ব অনেক বেশি থাকায় দৃশ্যমানতা
অনেক কম ছিল। ফলে যানবাহন চলাচল এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রমে কিছুটা ব্যাঘাত
হয়েছে।
আজ
(২ জানুয়ারি) সকালে টঙ্গী, উত্তরা, বিমানবন্দর, খিলক্ষেতসহ আশপাশের এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা যায়।
সরেজমিনে
দেখা গেছে, শীতের তীব্রতার সঙ্গে ঘন কুয়াশায় রাজধানীবাসীর
জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করছে। এসব এলাকাজুড়েই দেখা গেছে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার উপস্থিতি।
ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই বেশি যে, দিনের আলোতে কিছুটা দূরবর্তী জিনিস স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে না। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে এমন অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে৷ তবে ঠান্ডার অনুভূতিও অন্য সময়ের তুলনায় খানিকটা বেশি। অবশ্য অনেকেই বলছেন, গতকাল (বুধবার) থেকেই সূর্যের তাপ না থাকায় শীতের
প্রকোপ বেড়েছে।
এছাড়া সকাল
থেকে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় অফিসগামী মানুষ এবং স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে
পড়ছেন। সেইসঙ্গে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা এড়াতে চালকরা হেডলাইট জ্বালিয়ে এবং ধীর গতিতে গাড়ি
চালাতে বাধ্য হচ্ছেন।
আজ
সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আবহাওয়া প্রায় শুষ্ক থাকলেও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে
পারে। এই সময় পশ্চিম
বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৬-১২ কিলোমিটার
বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। আর আকাশ অস্থায়ীভাবে
আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।
এর
আগে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে
ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশের কোথাও কোথাও দিবাভাগে (দিনের বেলায়) শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এই একই কারণে
বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হওয়ার বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।