মানবতাবিরোধী অপরাধ, হত্যার বিচারের দাবিতে ব্যবসা শুরু হয়েছে । ফলে বিচার প্রক্রিয়া বিতর্কিত হচ্ছে। এদেরকে চিহ্নিত করে জবাবদিহিতার আওতায় আনার হুশিয়ারি দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) জুলাই অভ্যুত্থানে ঢাকা বিভাগে শতাধিক শহিদ পরিবারকে দ্বিতীয় ধাপে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ হুশিয়ারি দেন।
সঠিকভাবে মামলার আহ্বান জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই আমাদের শুদ্ধভাবে মামলা করতে হবে। শহিদ পরিবারের মামলাগুলোতে আইনি সহযোগিতার জন্য আলাদা সেল গঠন করবে আইন মন্ত্রণালয়। কথা দিচ্ছি আগামী ৭ দিনের মধ্যে করে দেব। এছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করার দরকার সেটা করে দেব।
পুলিশ কেন কাজ করছে না তার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, গত আমলে বলে কয়ে বলতো গোপালগঞ্জের ছেলেদের রিক্রুট করা হবে। ছাত্রলীগের ছেলেকে রিক্রুট করা হবে। এখন পুলিশ বাহিনীর দশজনের মধ্যে যদি আটজনের হৃদয়ে বাকশাল থাকে এবং তারা যদি আওয়ামী লীগ পরিবার ও গোপালগঞ্জের হয় সেই পুলিশ নিয়ে কি কাজ করা সোজা ব্যাপার?
যেই পুলিশ গণহত্যাকারীদের প্রধান বাহিনী ছিল, তারা কি তাদের বিচারের প্রতি আগ্রহ দেখাবে, প্রশ্ন রাখেন আইন উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহিদ পরিবারের কয়েকজন সদস্য পুলিশি ও আইনি হয়রানির অভিযোগ করেন। ক্ষোভ জানান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর।
গণহত্যাকারীদের বিচার করা সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তারা জানান, বিচার না হলে সরকার ও ছাত্ররা ব্যর্থ হবে।