বিসিএস (প্রশাসন)
ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মরত কর্মকর্তারা উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের
কোটা কমাতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সভা করছেন। সভায়
সশরীরে অথবা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছেন দেশের সকল জেলার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা।
আজ
(২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এই সভা শুরু
হওয়ার কিছুক্ষণ পর জেলা প্রশাসকদের
ভার্চুয়ালি যুক্ত করা হয়।
সভার
এক পর্যায়ে রাজবাড়ী জেলার জেলা প্রশাসক মো. জাহিদ হাসান ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। পরে ঢাকা জেলার ডিসি তানভীর আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
বিসিএস
(প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বাসা) যৌথভাবে এই সভার আয়োজন
করেছে। এতে সভাপতিত্ব করছেন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. আনোয়ার
উল্ল্যাহ্।
বাংলাদেশ
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবের বক্তব্যের
মধ্যে দিয়ে এ প্রতিবাদ সভা
শুরু হয়।
সভার প্রথম
বক্তা হিসেবে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সোহেল রানা বলেন, উপসচিব পদে এই ৫০
শতাংশ হারে পদায়ন বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক। রাষ্ট্রকে দুর্বল করার কোনো
প্রচেষ্টা চলছে কি না এটাও আমাদের দেখতে হবে।
গত
১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং
অন্য সব ক্যাডার থেকে
৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তারা। কমিশনের এই সুপারিশ ঘিরে
প্রশাসন ও অন্য ক্যাডারদের
মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে।
বর্তমান
বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং
অন্য সব ক্যাডারের ২৫
শতাংশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।