পার্বত্য
চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ৫ আগস্টে যে পরিবর্তনটি এসেছে, এটি
সবার জন্য এসেছে। অধিকার সবার জন্য। অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই এই পরিবর্তন। মাননীয়
প্রধান উপদেষ্টা শুধু লোক দেখানো পরিবর্তন চান না। উনি এমন একটি পরিবর্তন চান, যেই
পরিবর্তন আমরা সবাই নির্ভয়ে চর্চা করতে পারবো।
আজ
(২১ ডিসেম্বর) বিকেলে পাহাড়ের শান্তি নিকেতন হিসেবে পরিচিত ও ১৩টি ক্ষুদ্র
জাতিসত্তার শিক্ষা প্রসারে ভূমিকা রাখা রাঙামাটির ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মোনঘরের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সুপ্রদীপ
চাকমা বলেন, আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আমরা যেন এই দেশ, রাষ্ট্র
ও সংবিধানের মানুষ হিসেবে বলতে পারি, আমাদের অধিকারের পাশাপাশি দায়িত্বও রয়েছে। আপনারা সবাই নিজেদের দায়িত্বটুকুও দেখাবেন।
মোনঘরের
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সমাপনী অধিবেশনের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শওকত ওসমান, এডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, সিএসপি, পিএইচডি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, রাঙামাটির পুলিশ সুপার ড. এস এম
ফরহাদ হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মোনঘরের কার্যনির্বাহী পরিষদের সহসভাপতি নিরুপা দেওয়ান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন মোনঘর ৫০ বছর পূর্তি
উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক কীর্তি নিশান চাকমা।
বক্তারা
বলেন, মোনঘর পাহাড়ে শিক্ষার প্রসারে একটি বাতিঘরের মতো কাজ করে গেছে গত ৫০ বছর।
এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পড়ালেখা করে অনেক শিক্ষার্থী আজ দেশ-বিদেশের
বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত আছেন। পাহাড়ের যেসব দুর্গম অঞ্চলে এখনো শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি, সেখানকার দরিদ্র মেধাবী শিশুরা মোনঘরে অবস্থান করে নিজেদের শিক্ষাজীবন চালিয়ে নিতে পারছে। এটি মোনঘর তথা রাঙামাটির জন্য অত্যন্ত গৌরবের। বক্তারা মোনঘরের সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং ভবিষ্যতে মোনঘরের জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আলোচনা
সভা শেষে মোনঘরের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী
ও স্থানীয় শিল্পীবৃন্দের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।