আমার চাকরি
আসলে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাকে জোর করে এ কাজে আনা হয়েছে। আমি আমার কাজ করছিলাম এবং
তা উপভোগ করছিলাম। এ জন্য প্যারিসে ছিলাম। সেখান থেকে আমাকে টেনে আনা হয়েছে অন্য কিছু
করার জন্য। সুতরাং আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হবো, যা আমি আমার সারা
জীবন ধরে করেছি। আর তরুণরাও এটিকে ভালোবাসে। সুতরাং আমি আমার সেই দলে বা আন্দোলনে ফিরে
যাব যেটা আমি সারা বিশ্বে তৈরি করেছি।
গতকাল (২০
ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে
প্রধান উপদেষ্টার কাছে জঙ্গিবাদের ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
জবাবে
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না। তরুণেরা ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই তরুণেরা পুরো
বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে। এটা শুধু এক দেশ বা
আরেকটি দেশ পরিবর্তনের বিষয় না। বাংলাদেশ যা করেছে এটি
একটি উদাহরণ যে তরুণরা কত
শক্তিশালী। আমাদের উচিত তাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে
তিনি
বলেন, আমাদের উচিত তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া যাতে তারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তাদের সুযোগ এসেছে। তাদের সক্ষমতাও রয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণ আমার ক্যাবিনেটে আছেন। তারা দুর্দান্ত কাজ করছে। তারা সক্ষম। এই তরুণেরা গত
শতাব্দীর তরুণ নয়। তারা এই শতাব্দীর তরুণ।
তারা অন্যান্যদের মতোই সক্ষম।
প্রসঙ্গত,
সম্প্রতি ইকোনমিস্টের বর্ষসেরা দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষস্থান
লাভ করেছে বাংলাদেশ।
এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার
প্রতিক্রিয়া জানতে এ
সাক্ষাৎকারটি নেয় দ্য ইকোনমিস্ট।