আজ (৮ ডিসেম্বর)
নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে
জানানো হয় আগামী ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, আগামী ২ জানুয়ারি ২০২৫
তারিখে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ভুল আছে, তাদেরকে জরুরিভিত্তিতে আগামী ২ জানুয়ারির আগেই
সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন
অফিসে গিয়ে ভুল সংশোধন করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
জানা
গেছে, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত
ভোটার হয়েছিলেন ১১ কোটি ৯৩
লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭
জন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের নিয়েই করা হয়েছিল চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি পাঁচ
লাখ ৯২ হাজার ১৬৯
জন, আর নারী ভোটার
পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ ৪০
হাজার ১৪০ জন। হিজড়া ভোটার ছিল ৮৪৮ জন। অন্যদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই মাস পর ২০২৪ সালের
২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত হালনাগাদ শেষে ভোটার দাঁড়ায় ১২ কোটি ১৮
লাখ ৫০ হাজার ১৬০
জন। এক্ষেত্রে ১ জানুয়ারি ২০২৪
সাল পর্যন্ত তথ্য নেওয়া হয়। এই হিসেবে এক
বছরে ভোটার বাড়ে ২৫ লাখ ১৭
হাজার তিনজন। অর্থাৎ বিরাট সংখ্যক ভোটার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। নতুন নির্বাচন কমিশন বিশাল সংখ্যক তরুণ ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায়।
বাংলাদেশের
আইন অনুযায়ী, দেশের নাগরিকদের ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হলেই ভোটার হতে পারবেন বছরের যেকোনো
সময়। প্রতি বছরের ২ মার্চ ভোটার ত্যালিকা হালনাগাদ করতে নির্বাচন কমিশন। এর আগে ২ জানুয়ারি
খসড়া তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে দাবি ও আপত্তি গ্রহণ করে সেগুলো নিষ্পত্তি করে প্রকাশ
করে চূড়ান্ত তালিকা যার ভিত্তিতে জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।