ভারতীয় সীমান্তরক্ষী
বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে পঞ্চগড় সীমান্তে নিহত বাংলাদেশি যুবক আনোয়ার হোসেনের মরদেহ
ফেরত দেওয়া হয়েছে। আজ (৬ ডিসেম্বর) বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা
বৈঠকের পর বিকেলে বিজিবির কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
এর
আগে ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের
অধীন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া ও ভারতের শিংপাড়া
সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫১-এর ৮ ও
৯নং সাব পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় গুলিতে আনোয়ার হোসেন নিহত হন। পরে তার মরদেহ বিএসএফ নিয়ে যায়। নিহত আনোয়ার তেতুঁলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের দেবনগড় এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
নীলফামারী
৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশি কয়েকজন যুবকের সঙ্গে আনোয়ারও ভারতে গরু আনতে যান। পরে ভোরের দিকে গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে বিএসএফ ৯৩ ব্যাটালিয়নের চানাকিয়া
ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে গুলি করে। গুলিতে নিহত হন আনোয়ার হোসেন।
তবে এ ব্যাপারে
বিএসএফ বলছে ভিন্ন কথা।তাদের দাবি, চোরাকারবারিরা তাদের ওপর বটি ও বাঁশের লাঠি
দিয়ে হামলা করতে গেলে আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ গুলি চালালে নিহত হয় আনোয়ার। পরে
তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। একইসঙ্গে চোরাচালানের দুইটি গরুও জব্দ করেন তারা।
এদিকে
গুলির শব্দ পেয়ে চোরাকারবারিদের প্রতিহত করতে ৮ রাউন্ড ফাঁকা
গুলি করেন ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। একইসঙ্গে একটি গরুও আটক করা হয়। চোরাকারবারিরা তাদের ওপর বটি ও বাঁশের লাঠি
দিয়ে হামলা করতে গেলে আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ গুলি চালালে নিহত হয় আনোয়ার। পরে
তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। একইসঙ্গে চোরাচালানের দুইটি গরুও জব্দ করেন তারা।
এদিকে
গুলির শব্দ পেয়ে চোরাকারবারিদের প্রতিহত করতে ৮ রাউন্ড ফাঁকা
গুলি করেন ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। একইসঙ্গে একটি গরুও আটক করা হয়।
নীলফামারী
৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো বদরুদ্দোজা বলেন,
পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিয়েছে। এ ঘটনার তীব্র
প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।