ছবিঃ সংগৃহীত।
আজ (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পাওয়া স্বাধীনতা যাদের পছন্দ হয়নি তারা দেশকে নতুন করে অস্থির করার চেষ্টা করছে।
এর আগে, বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে গতকাল (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়
বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। সেই পরিক্রমায় আগামীকাল (৫ ডিসেম্বর) ধর্মীয় সম্প্রদায়ের
নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস।
ড.
ইউনূস বলেন, গত ৫ আগস্টের
পর থেকে নানাভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালন হওয়ায় অনেকের পছন্দ হয়নি। তারা চেয়েছিল অন্যকিছু। আমরা যে বাংলাদেশ গড়ে
তোলার চেষ্টা করছি, সেটাকে তারা মুছে দিতে চায়, এটাকে নতুন ভঙ্গিতে দুনিয়ার সামনে পেশ করতে চায়।
তিনি
বলেন, বিজয়ের অভ্যুত্থান যাদের পছন্দ হয়নি তাদের মতে, আমাদের এখানে ভয়ংকর একটা কাণ্ড ঘটে গিয়েছে, এটা থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। তাদের এই অবস্থান মিথ্যা
প্রমাণ করার জন্য এবং বাস্তবকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের সবাইকে এক জোট হতে
হবে। কারণ, এটা কোনো বিশেষ রাজনৈতিক মতবাদের বিষয় নয়, জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন।
ভারতের
বিভিন্ন প্রোপাগান্ডার ইঙ্গিত প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা বারেবারে তাদের বলছি যে আপনারা এখানে
আসেন দেখেন, কোনো বাধা নেই। কিন্তু না, তারা ওখান থেকেই কল্পকাহিনি বানিয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের সাড়া দুনিয়াকে বলতে হবে যে, আমরা এক, আমরা যেটা পেয়েছি সেটা একজোট হয়ে পেয়েছি।
রাজনৈতিক
দলের নেতাদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন,
আপনারা সবাই ভালো বোঝেন। সবাই মিলে আমরা একজোট হয়ে যেন কাজটা করতে পারি, সবাই একত্র হয়ে বললে একটা সমবেত শক্তি তৈরি হয়, এই সমবেত শক্তির
জন্যই আপনাদের সঙ্গে বসা।
এর
আগে, জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে এদিন বিকেলে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ, গণতন্ত্র মঞ্চ, গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
ছাত্র-জনতার
গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারত
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। সম্প্রতি জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে সনাতনী
জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর ক্রমশ দু'দেশের সম্পর্কে অবনতি
ঘটতে থাকে। এরই মধ্যে তার জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় চিন্ময়ের অনুসারীরা সাইফুল ইসলাম নামে
এক আইনজীবী পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে
ভারত ন্যাক্কারজনকভাবে তাদের মিডিয়াতে 'বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলছে'
এই অপপ্রচার চালাতে থাকে।
এসব অপপ্রচারের
জেরে গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভারতের ত্রিপুরা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের
সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠনের হামলার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দুই
দেশের মধ্যকার পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে রুপ ধারণ করেছে। যা সামাল দিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক
দিতে এই বৈঠকগুলোর আয়োজন করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh