বিগত সরকারের
আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে 'গুম' হওয়া ব্যক্তিদের ঘটনা তদন্তে গত ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর
নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার 'গুম কমিশন' গঠন করে। ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত
'গুম কমিশন'র মেয়াদ বাড়িয়ে গতকাল (৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কমিশনের
অন্য সদস্যরা ছিলেন— হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।
প্রজ্ঞাপনে
কমিশনের কার্যাবলি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা এবং অনুরূপ যে কোনো বাহিনী
বা সংস্থার কোনো সদস্য বা সরকারের মদদে,
সহায়তায় বা সম্মতিতে কোনো
ব্যক্তি বা ব্যক্তি-সমষ্টি
কর্তৃক "আয়নাঘর" বা যেকোনো জ্ঞাত
বা অজ্ঞাত স্থানে বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, বলপূর্বক গুমের ঘটনার সহিত জড়িত ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিতকরণ
ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ প্রদান এবং বলপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনা প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংস্কারের সুপারিশসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যাদি সম্পাদন।