আজ (২১ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকৃত ব্যাটারিচালিত
রিকশা চালকরা জানিয়েছেন রাজধানীর মহাখালী
এলাকায় রেললাইন থেকে নিজেদের অবস্থান সরিয়ে নেবেন না । তাদের ভাষ্য, দাবি না মানা
পর্যন্ত তারা রাস্তা ছাড়বেন না।
তবে,
রেললাইনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন, তারা চেষ্টা করছেন রিকশা চালকদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য।
অটোরিকশা
চালকরা বলছেন, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত
আমরা রাস্তা ছেড়ে যাব না। ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্তে আমাদের পেটে লাথি দেওয়া হয়েছে। আমরা এখন কী করব, চুরি
করব, না ছিনতাই করব।
রিকশা না চালাতে পারলে
আমরা কী করে চলব,
কীভাবে টাকা আয় করব। তাই পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনী যত চেষ্টাই করুক
না কেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত
রাস্তা ছেড়ে যাব না।
তারা
আরো বলছেন, আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আমরা সকাল থেকে মহাখালী এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিনা উস্কানিতে আমাদেরকে লাঠি পেটা করে। আমরা তো আমাদের পেটের
দায়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে। তাহলে কেন বিনা কারণে আমাদেরকে এভাবে মারা হলো।
রাজধানীর
মহাখালী এলাকায় আন্দোলনরত ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক সজীব বলেন, আমার পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী আমি। আমি রিকশা চালিয়ে জীবনযাপন করি এবং আমার পরিবার চালাই। এখন যে সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়েছে, এতে করে আমার পেটে লাথি মারা হয়েছে। তাহলে আমি এখন কী করব, চুরি
করব, না ছিনতাই করব।
আমি আমার সংসার কীভাবে চালাব।
মহাখালী
এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাখালীর আমতলী থেকে সাত রাস্তা পর্যন্ত যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। মহাখালী থেকে বনানীগামী রাস্তায়ও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন কাজে বের হওয়া মানুষজন এই আন্দোলনের দুর্ভোগের
কারণে অতিষ্ট হয়ে উঠছেন। তারা কোনো যান চলাচল না থাকায় বাধ্য
হয়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
বর্তমানে
সেনাবাহিনীর সদস্যরা মহাখালী রেললাইনে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের একটু সামনেই আন্দোলনরত ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকর অবস্থা নিয়েছেন।