ছবিঃ সংগৃহীত
গতকাল
(২৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯ তম অধিবেশনে
ভাষণ দেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় তিনি জাতিগত নিধনের শিকার জোরপূর্বক বিতাড়িত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের তাদের
মাতৃভূমিতে টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পর্যাপ্ত সহায়তা অব্যাহত
রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
বক্তব্যের
শুরুতেই ‘সামিট অব দ্য ফিউচার’
আয়োজনের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের দূরদর্শী ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সম্মেলনে যে ‘ভবিষ্যতের জন্য চুক্তি’ (প্যাক্ট ফর দ্য ফিউচার)
এবং ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ঘোষণাপত্র’ (ডিকলারেশন অন ফিউচার জেনারেশনস)
সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে তা অ্যাজেন্ডা ২০৩০
পরবর্তী বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মপন্থা নির্ধারণে বিশেষ সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে এই সম্মেলনের
অর্জন বৈশ্বিক সমৃদ্ধির জন্য আমাদের সবার অভিপ্রায় ও সহযোগিতা কাঠামো
প্রণয়নে দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।
রোহিঙ্গা
ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের
সহায়তা করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালু
রাখা এবং তাদের টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পর্যাপ্ত সহায়তা
অব্যাহত চাই।
রোহিঙ্গা
জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চেয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সংঘটিত হওয়া ব্যাপকভিত্তিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে চলমান বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি
বলেন, রোহিঙ্গারা যেন নিজ দেশে স্বাধীন এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবনধারণ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক
প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার। রোহিঙ্গারা যেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত
করে তাদের নিজ ভূমি রাখাইনে ফিরে যেতে পারে, তার পথ সুগম করা
দরকার।
অধ্যাপক
ইউনূস বলেন, মিয়ানমারে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল অবস্থা বিবেচনায় রেখে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একযোগে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের
জন্য পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করতে প্রস্তুত।
প্রধান
উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ গত সাত বছর
যাবৎ মিয়ানমার থেকে আগত ১২ (বারো) লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে আসছে। এর ফলে, আমরা
বিশাল সামাজিক-অর্থনৈতিক-পরিবেশগত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে সৃষ্ট এই সংকট বাংলাদেশ
ও আমাদের অঞ্চলের জন্য প্রথাগত ও অপ্রথাগত উভয়
ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh