গতকাল (১৯
সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ব্যাপক সহিংসতা ঘটে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন।
আজ (২০ সেপ্টেম্বর)
সকালে চট্টগ্রাম রেঞ্জ
পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা
হলেন- জুনান চাকমা (২০), ধনঞ্জয় চাকমা (৫০) ও রুবেল (৩০)। জুনান চাকমা
ও রুবেলের বাড়ি খাগড়াছড়ি সদরে এবং ধনঞ্জয় চাকমার বাড়ি দীঘিনালায়।
নিহতদের মরদেহ
খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে রয়েছে। বাকিদের খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা
চলছে।
স্থানীয়
সূত্রে জানা যায়, গতকাল ( ১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে (আনুমানিক সাড়ে ১০টা) জেলা শহরের নারানখাইয়া, স্বনির্ভর এলাকায় ব্যাপক গুলির শব্দ শোনা যায়। এ সময় পুরো
এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে রাতে ১২ জনকে খাগড়াছড়ি
জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়। চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
তবে
কাদের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা
ঘটেছে, তা কেউ নিশ্চিত
করে বলতে পারেনি।
খাগড়াছড়ি
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা জানান, গুরুতর আহত চারজনকে চট্টগ্রামে রেফার করা হয়েছে। আহতদের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ।
খাগড়াছড়ির
জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি শান্ত করতে জেলাজুড়ে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন
করা হয়েছে।
এর
আগে গতকাল (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে
জেলার দীঘিনালায় দুইপক্ষের বিরোধের জের ধরে লারমা স্কয়ারের বাজারে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। তাতে ৫০টির বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে যায়। আহত হন পাঁচজন।