ঢাকার নিউ নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় আলোচিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে গতকাল (১৫ আগস্ট) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মহা: আশরাফুজ্জামান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা দোকান কর্মচারী হত্যা মামলায় (৮ নম্বর মামলা) তাকে খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে বহু লোকের ফোনে আড়িপাতা এবং গুমের অভিযোগ রয়েছে। গত ৬ আগস্ট মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ২০২২ সাল থেকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার- এনটিএমসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগে তিনি ওই সংস্থার পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। জিয়াউল আহসান র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালকও ছিলেন।
জিয়াউল আহসান ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র্যাব) দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালের ৫ মার্চ তিনি উপ-অধিনায়ক হিসেবে র্যাবে যোগ দেন। একই বছর ২৭ আগস্ট লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালক হন। ২০১৩ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে তিনি র্যাব ছাড়ার আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকার সময় তাকে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) ডিডিজি হিসেবে বদলি করা হয়। পরে তাকে সেখান থেকে এনএসআই’র পরিচালক হিসেবে সংযুক্ত করা হয় ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল। ২০১৭ সালে এনটিএমসি’র পরিচালক হন। ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক আদেশে এনটিএমসি’র মহাপরিচালকের (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে।