বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা আাড়াইটার দিকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের গেট ভেঙে ৩০ হাজতি পালিয়ে গেছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারারক্ষীরা গুলি ছোঁড়ে। এ ঘটনায় কোনও অস্ত্র বা অন্য কিছু লুটের ঘটনা ঘটেনি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারাগারে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি টিম এসে যোগ দেয়।
কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. আফতাবুজ্জামান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পালিয়ে যাওয়া হাজতিদের মধ্যে সজিব নামে হত্যা মামলার আসামি এক ছাত্রলীগ নেতাও রয়েছেন।
জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে জেলা কারাগার স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল। সকাল থেকে স্বজনরা বিভিন্ন কয়েদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। হঠাৎ দুপুরের দিকে জেলা কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙে বেশ কয়েকজন হাজতি পালিয়ে যায়।
ডেপুটি জেলার মো. আফতাবুজ্জামান বলেন, "কয়েদি একজনও পালায়নি। তবে হাজতি পালিয়েছে। পুরো তথ্য এখনও সংগ্রহ করতে পারিনি। আনুমানিক ২০-৩০ জন হাজতি পালিয়েছে। এর মধ্যে একজন দাগি আসামি রয়েছে। তিনি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ নেতা। তার নাম সজিব। তিনি হত্যা মামলার আসামি।"
তিনি আরও বলেন, "কত জন পালিয়েছে এখন গণনা চলছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। জেলা কারাগার পুরো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।"
এ বিষয়ে জেল সুপার আব্দুল বারেক বলেন, "দুপুর আড়াইটার দিকে বেশ কয়েকজন পালিয়ে গেছে। পরে আরও অনেকে বেরিয়ে যাওয়ার যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়।"
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. এহতেশাম রেজা বলেন, "কারাবিদ্রোহের ঘটনা হয়েছে। কয়েকজন বন্দি পালিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী।"