সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকার দুই সিটির ১৮টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাণ নিরাপদ মানদণ্ডের চেয়ে বেশি। সেখান থেকে জানানো হয়, দুই সিটির ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতে ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর হার বেশি। যার মানে, এসব এলাকায় প্রতি ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এলাকাগুলো বর্তমানে ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে ১২ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে এডিসের ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৪৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। পরের অবস্থানে রয়েছে ১৩ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড। এগুলোতে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৪০ শতাংশ। এ ছাড়া ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ৩১ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ, ১৭ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো-৪, ১৩, ৫২, ৫৪, ১৬, ৩, ৫, ১৫, ১৭ ও ২৩।
অথচ ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু আসন্ন মহামারি ঠেকাতে নেয়া হয়নি কোনো নতুন পদেক্ষেপ । প্রতি বছর শতকোটি টাকা খরচ করার পরেও রাজধানীবাসী মশার তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করেই যাচ্ছে। বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নেওয়া হলেও অপ্রতিরোধ্য গতিতে বিস্তার হচ্ছে এডিস মশার।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মশক নিধন কার্যক্রম সম্পর্কে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, "মশক নিধনে আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম চলমান। এ কাজে মাঠপর্যায়ে আমাদের পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন কীটনাশক, সরঞ্জাম ও জনবল রয়েছে। বাড়ির আঙিনা, ছাদ ও চারপাশে যদি মশার প্রজননস্থল সৃষ্টি হয়, সে সম্পর্কিত তথ্য আমাদের সরবরাহ করার আহ্বান রইল। আমরা যত বেশি তথ্য পাব, মাঠপর্যায়ে আমাদের কার্যক্রম তত বেশি কার্যকর হবে। আমরা মশক নিধন কার্যক্রম আরো বেশি ফলপ্রসূ করতে পারব।"