× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশে সতর্কতার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ জুন ২০২৪, ১৫:৩৬ পিএম

দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলোকে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা আগেও দেখেছি, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

তিনি বলেন, এই বিশেষ মহলের সঙ্গে দুই-একটি গণমাধ্যমও যুক্ত। দেশে দুর্নীতি হলে সেটি অবশ্যই সংবাদে আসবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সরকারের জিরো টলারেন্স রয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।

তিনি আরও বলেন, ইচ্ছেকৃতভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ পরিবেশিত হলে, বুঝতে হবে এটি ষড়যন্ত্রের অংশ। তদন্তের আগে গণমাধ্যমের সামনে কাউকে দুর্নীতিবাজ বলাও সমীচীন নয়।  

হাছান মাহমুদ বলেন, অবশ্যই দুর্নীতির সংবাদ আসবে এবং তা দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বনে প্রয়োজন রয়েছে। কোনো নিরপরাধ মানুষ যাতে ভিকটিম (ভুক্তভোগী) না হয়। কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াস হিসেবে যেন কোন সংবাদ পরিবেশন না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি বলেন, গত নির্বাচনের আগে অনেক ষড়যন্ত্র ছিল। প্রথমে নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্র বানচাল হওয়ার পর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল সরকার যেন বিশ্ব দরবারে সমাদৃত না হয়। ৮০টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এরপর বিএনপির বেলুন ফিউজ হয়ে গেছে। এখন তারা অভ্যন্তরীণ সংকটে নিমজ্জিত। সে কারণে দেখা যায়, মধ্যরাতে কমিটি বাতিল, আবার ভোররাতে আরেকজনকে বহাল। এটি বিএনপির মধ্যে এখন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা নেই, তারা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে কীভাবে?

বিএনপির মধ্যে গণতন্ত্র নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে পত্রিকায় একটি শিরোনাম দেখলাম- মহাসচিবের খোঁজে বিএনপি। একটি দলের আট থেকে নয় বছর কোনো সম্মেলন হয় না। আবার দেখলাম কয়েক ডজন পদ কোনো সম্মেলন ছাড়াই তারা পূরণ করে দিয়েছে। মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটরেরা যেভাবে কলমের খোঁচায় কাউকে বরখাস্ত করতেন এবং দলে অন্তর্ভুক্ত করতেন, ঠিক একই কায়দায় দেশের বাইরে থেকে কে কোন পদ পাবেন, সেটি তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঠিক করে দিচ্ছেন। যাদের নিজেদের দলেই কোন গণতন্ত্র নেই, তার আবার মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে!

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহাসচিবের খোঁজে বিএনপি- পত্রিকায় এ শিরোনাম দেখার দুদিন পর দেখলাম মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাঁদছেন। পত্রিকায় এসেছে বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ বিধায় তিনি কেঁদেছেন। বেগম খালেদা জিয়া তো বহুদিন ধরে অসুস্থ। এতদিন তো কান্না দেখিনি। মহাসচিব খোঁজার শিরোনামের সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কান্নার কোনো সংযোগ আছে কি না, তা খুঁজে দেখার বিষয়।

আওয়ামী লীগের কাছ থেকে বিএনপির অনেক কিছু শেখার আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতি তিন বছর অন্তর সম্মেলন হয়। কলমের খোঁচায় আওয়ামী লীগ থেকে কাউকে অব্যাহতি দেওয়া হয় না, দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের সৌন্দর্য হলো- দলটি নেতার দল নয়, কর্মীদের দল। আওয়ামী লীগের সঙ্গে অন্যান্য দলের পার্থক্য হলো, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা আছে, আর বিএনপিসহ অন্যান্য দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা নেই।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, যখন আওয়ামী লীগ সংকটময় মুহূর্তে পড়তে যাচ্ছিল, তখন দলের ঐক্যের প্রতীক হয়ে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাকে ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগকে তিনি মায়ের মমতায়, বোনের স্নেহে কর্মীদের আগলে রেখে সংগঠিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২১ বছর ধরে আমরা শুনেছিলাম, আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতায় যাবে না। আমরা অনেক টিটকারির শিকার হয়েছিলাম। সেই আওয়ামী লীগকে তিনি (শেখ হাসিনা) রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে গেছেন। পরপর চারবার আজ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায়। এর প্রধান কারণ হলো জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, একতা এবং সংকটে থেকেও তা মোকাবেলা করার সাহস, দৃঢ়তা ও বুদ্ধিমত্তা।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । সম্পাদক: 01703-137775 । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.