প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শনের পর দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন সরকারপ্রধান।
এ সময় দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রওনা হয়ে দুপুর পৌনে ১টায় মোজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ মাঠে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী।
কলাপাড়ার খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন হেলিপ্যাডে অবতরণের আগে ভূমির কাছাকাছি থেকে দুর্যোগ কবলিত এলাকা মঠবাড়ীয়া ও পাথরঘাটা পরিদর্শন করেন তিনি।
এরপর প্রধানমন্ত্রী সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজে আসেন। ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি এখানে তিনি দুর্গত জনগণের সঙ্গে কথা বলেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।
ত্রাণ বিতরণ শেষে শহীদ শেখ কামাল ব্রিজ পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। সেখানে ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিক-নির্দেশনা দেবেন তিনি।
গত রোববার দিনগত রাতে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে তাণ্ডব চালায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মধ্যরাতে ঝড়ের সাথে জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায় খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুরের বেশ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শুধু বরিশাল বিভাগেই মৃত্যু হয় ১৯ জনের। ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে যায় গাছপালা, বাড়িঘর, বেড়িবাঁধ। দক্ষিণ অঞ্চলের অনেক মাছের ঘেরও তলিয়ে যায়।
রাতভর তাণ্ডবের পর ঘূর্ণিঝড় রেমাল সোমবার সকালের পর আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে দুর্বল হতে থাকে। রাজধানীসহ ১০ জেলায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্তত ২১ জনের প্রাণহানির খবর এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
আরো পড়ুন
ঘূর্ণিদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে পটুয়াখালীর পথে প্রধানমন্ত্রী