জিয়া পরিবার, তারেক জিয়ার মেয়ে জাইমা রহমান ও নারী সমাজের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি’র বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন এডভোকেট বজলুর রশিদ। আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান সে ব্যাপারে এখনো কোনো আদেশ দেননি।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কুড়িগ্রাম জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বজলুর রশিদ বাদী হয়ে সদর আমলী আদালতে এই পিটিশন দাখিল করেন।
আবেদনে ডা. মুরাদ ছাড়াও মহির উদ্দিন হেলাল নাহিদ ওরফে নাহিদ হেলাল নামে আরও একজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট তারিকুর রহমান এ কথা জানান।
অ্যাডভোকেট তারিকুর রহমান জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ ও সাক্ষ্য গ্রহনের আবেদন করা হয়েছে। আদালতের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর আমলী আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান ওই আবেদনটি এখনো নিষ্পত্তি করেননি। আবেদনের বিষয়ে পরবর্তীতে আদেশ প্রদান করা হবে বলে আদালত জানিয়েছেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ডা. মুরাদ হাসান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালিন সময় গত ১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে অপর অভিযুক্ত মহির উদ্দিন হেলাল নাহিদকে একটি সাক্ষাৎকার প্রদান করেন যা পরবর্তীতে মুরাদ হাসান তাঁর নিজস্ব ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশ ও প্রচার করেন। প্রচারিত ওই সাক্ষাৎকারে ডা. মুরাদ উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচীপূর্ণ নারী বিদ্বেষী এবং যে কোনো নারীর জন্য মর্যাদাহানীকর ভাষা ব্যবহার করেন। এ ধরণের মিথ্যা তথ্য প্রকাশ এবং প্রচার করে অভিযুক্তরা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েচেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ১৫৩-ক/ ৫০৫-ক/৫০৯ ধারায় অভিযুক্তরা অপরাধ করেন।
কুড়িগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন জানান, মামলাটি গৃহিত হয়েছে তা বলার সুযোগ নেই। এটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। পরবর্তীতে বিচারকের আদেশ পেলে বোঝা যাবে মামলাটি গৃহিত হল কিনা।