বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন না করে আক্রমণ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেখানে শান্তিপূর্ণ হচ্ছে সেখানে তো কেউ কিছু বলছে না। এরা তো মাঠে নেমেই আগে ভাবে কোথায় কাকে কীভাবে আক্রমণ করবে? কীভাবে একটা সিচুয়েশন তৈরি করবে। এমনি মিছিল করলে তো মিডিয়াতে কাভারেজ পাবে না। মিডিয়াতে কাভারেজ পাওয়ার জন্যই তারা এমন ঘটনা ঘটাবে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সংরক্ষিত আসনের এমপি রুমিন ফারহানার বক্তব্যের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, রুমিন ফারহানা ভোলার একটি ঘটনা নিয়ে অনেক প্রতিবাদ করে গেছেন। আমি বলেছি কিছু না বলার জন্য। আমি তো আন্দোলন করার কথা বলছি। বলেছি মিছিল করেন, আন্দোলন করেন- শান্তিপূর্ণ, কেউ কিছু বলবে না। যেখানে শান্তিপূর্ণ হচ্ছে সেখানে তো কেউ কিছু বলছে না। কিন্তু পুলিশ তো আগে বাড়িয়ে কিছু বলেনি। পুলিশ বাদ দেন, একটা মানুষ যদি আক্রান্ত হয় তার নিজেকে বাঁচাবার অধিকার আছে। উনাদের কথায় মনে হয়, তারা বোমা ছুড়বে, লাঠি মারবে, ঢিল ছুড়বে, গুলি করবে- সব করবে, তাদের কিছু বলা যাবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, কিছু মিডিয়া ও বিরোধী দল এমন একটা হতাশা ছড়ায় যে সব শেষ হয়ে গেলো। নিজেরা কিন্তু ভালোই আছেন, চলছেন। হতাশাব্যঞ্জক কথা ছড়িয়ে মানুষদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা মোটেই সমীচীন নয়।
ভোট দেওয়া যায় না- বিএনপির হারুনের এমন বক্তব্যের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, হারুন সাহেব বলেছেন উনার এলাকায় নাকি ভোট ডাকাতি হয়েছে? কথাটা মনে হয় ঠিক। উনি যে জিতে এসেছেন, নিশ্চয়ই ভোট ডাকাতি করে জিতে এসেছেন। তিনি যদি ভোট ডাকাতি করে না আসেন তাহলে বুঝবেন কীভাবে ডাকাতি হয়েছে। ভোট যদি না-ই হয়ে থাকে উনি জিতলেন কীভাবে?