কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল এক্সপ্রেসের বাসে ডাকাতি ও দলবদ্ধ ধর্ষণ ছাড়াও একাধিক নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন ডাকাত দলের সদস্যরা।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ১০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায় র্যাব। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গতকাল রোববার ঢাকা, সাভার, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ, সাভার ও টাঙ্গাইলে অভিযান চালিয়ে ডাকাত চক্রটির ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী রয়েছেন।
র্যাবের বিবরণ অনুযায়ী গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. রতন হোসেন, মো. আলাউদ্দিন, সোহাগ মণ্ডল, খন্দকার মো. হাসমত আলী, বাবু হোসেন, মো. জীবন, আবদুল মান্নান, নাঈম সরকার, রাসেল তালুকদার ও আসলাম তালুকদার। তাঁদের মধ্যে রতন মূল পরিকল্পনাকারী। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে।
র্যাব বলছে, বাসটিতে মোট ২৪ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়জন ছিলেন নারী যাত্রী। তাঁদের মধ্যে একজনকে ধর্ষণ করেন ডাকাত দলের সদস্যরা। এ ছাড়া তাঁরা একাধিক নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেছেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, চক্রটির নেতা রতন। তিনি ছদ্মবেশে ২০১৮ সাল থেকে যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে আসছিলেন। তাঁর অধীন ডাকাত চক্রটিতে ১৩ থেকে ১৫ জন সদস্য রয়েছেন। ডাকাতির ঘটনায় আগে তিনি দুই দফায় কারাভোগ করেছেন। ৯ মাস আগে তিনি জামিনে বের হয়ে আসেন। আবার ডাকাতি শুরু করেন। এ সময় তাঁর পরিকল্পনা-নেতৃত্বে ১০টির মতো ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে ঈগল এক্সপ্রেসের চলন্ত বাসে তাঁর পরিকল্পনায় ডাকাতি হয়। বাসে ডাকাতিকালে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, বাসে ডাকাতির জন্য পাঁচ হাজার টাকার একটি প্রাথমিক তহবিল গঠন করা হয়। রতন এই টাকা সরবরাহ করেন। ২ আগস্ট টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা মোড় থেকে ছুরি, ক্ষুরসহ দেশি অস্ত্র কেনেন তিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তাঁর অন্যতম সহযোগী রাজু ডাকাতির জন্য অন্যদের জোগাড় করেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, সব ধরনের প্রস্তুতি শেষে ডাকাত দলের সদস্যরা বাসে ডাকাতের উদ্দেশ্যে সিরাজগঞ্জ মোড়ে অবস্থান নেন। যাত্রীবেশে রতন, রাজা, মান্নান ও নূর নবী বাসটিতে ওঠেন। পরে আরও দুই দফায় এ চক্রের বাকি সদস্যরা যাত্রী সেজে বাসে ওঠেন। তাঁরা বাসের পেছনের বিভিন্ন ফাঁকা সিটে অবস্থান নেন। বাসটি বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু অতিক্রম করলে রতনসহ অন্যরা চালক ও তাঁর সহকারীকে বেঁধে ফেলেন। তাঁরা বাসের নিয়ন্ত্রণ নেন। পরে তাঁরা দেশীয় অস্ত্রের মুখে বাসের যাত্রীদের হাত, পা ও চোখ বেঁধে ফেলেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh