পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "বাংলাদেশের ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে আমরা দাঁড়িয়ে। আজকের এই আনন্দঘন মুহূর্তে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।"
তিনি বলেন, "আমার ছোটবোন ও ছেলেমেয়ে নাতি নাতনিদের আন্তরিক ভালোবাসা ও দোয়া জানান।" এসময় আবেগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।
দুঃখ ভারাক্রান্ত কন্ঠে তিনি বলেন, "আপনারা সবাই জানেন এই সেতু নির্মানের সময় অনেক ষড়যন্ত্র হয়। দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে অনেকগুলো পরিবারকে মানসিক যন্ত্রণা দেয়া হয়। এর মধ্যে আছেন রেহানা, জয়, পুতুল, রেদওয়ান মুজিব, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর রহমান। আমি তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই। যারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিলো তাদের ধন্যবাদ জানাই।"
ধৈর্য্য ধরে পাশে থাকায় বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জনগণের। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের জেদ, প্রত্যয়। ষড়যন্ত্রের কারণে এই সেতু নির্মানে ২ বছর দেরি হয়। তবুও সব অন্ধকার দূর করে আমরা আলোর পথে যেতে পেরেছি। পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে থাকা ৪২টি স্তম্ভ বাংলাদেশের দম্ভের প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছে।"
বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু নির্মান করলেই সবচেয়ে ভালো হবে, এই কথা বিশেষজ্ঞরা বলার পরেই কাজ থেকে সরে আসে বিএনপি। কানাডা রায় দিয়েছে- ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সব অভিযোগ মিথ্যা। সব প্রতিষ্ঠান সরে আসার পর আমি পার্লামেন্টে ঘোষণা দিয়েছিলাম, পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করব। মানুষের শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি। এই শক্তি নিয়েই পদ্মা সেতুর নির্মাণে নেমেছিলাম।"