সার্ডেনলি ধানক্ষেতের থেকে এক ঝাঁক পাখি আসছে উড়ে, মাই চাইল্ড হুড মেমোরি জানাচ্ছে,
তারা ভাত শালিকের বংশজাত
তো, শালিক উড়ে যাচ্ছে নগরের শাপলাচত্বর বরাবর
স্থাপত্যে, নৃ-ইতিহাসের রুটে এক কাদাকাদা রাস্তা গেছে
আমার বয়সোত্তর হৃৎপিণ্ডের ভেতর, আছে শৈশব
এই জায়গাটা যুদ্ধোত্তর...অতঃপর
এইখানে রক্ত, স্রোত, এখানে অনেক শহীদ, মা-বোনের সম্ভ্রমের ক্ষত
রাজপথের মোড়ে দাঁড়িয়ে আমি, ভাবি আমি কে?
কোনো যুদ্ধাহত চাষার সন্তান!
খেয়ালি ট্র্যাফিক ইতিহাসের যানগুলোকে দিচ্ছি ইশারা
দেখাচ্ছি গন্তব্যের বাঁক
অথবা আমি শৌখিন ফটোগ্রাফারের কেউ
ক্যামেরায় দিচ্ছি ক্লিক, ফোটোর পাঁজরে উঠছে ভেসে বিগত ৫০ বছর
এই যে উড়ন্ত শালিখের সারি, দূর দিগন্তরাজি
বহুবিধ ন্যাচারের আড়ে ধানক্ষেতের সারি
চাষাদের দল বন্দুক হাতে ছুটছে যুদ্ধক্ষেত্রে
এবং ছাত্র শ্রমিক পেশাজীবী
যুদ্ধের নিহিত মেটাফর থেকে উদয় হয় অনুসূর্য কোনো
কাঁটাতার বরাবর
সীমান্তের দু’পার থেকেই হাতছানি দিচ্ছে,
রিলোডেড গান যেনো চেনা শালিখগুলির ভাষিক মুক্তি
সময়ের হেজিমনি ছিঁড়ে পাখিদের একান্ত হারিকিরি
হচ্ছে দিগন্তের ঠিক কাছে
কানাবিলের শালুকেরা শুনছে বহুরৈখিক সংগীত, চৈতন্যের, মুক্তির...
তো, বসে আছেন তিনিও মোড়ের ফুটপাতে, এক পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা!
টিয়ে পাখিটির মুখে শুনছেন তাঁর ভাগ্য ও আগামী
যদিও তাঁর অ্যানড্রয়েট মোবাইল হতে গাইছে সমূহ
কিংবা শুনছেন গান ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো
তুমি, সে যে আমার জন্মভূমি’...
কাছের স্টেডিয়াম থেকে উড়ছে ৫০টি কবুতর, মাল্টিকালার
মাথার উপর, ছুটছে করতালি
আমারও,
বোধের ভেতর হচ্ছে ভয়েজওভার ‘এবারের সংগ্রাম
মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’
আর আমারও, ধানক্ষেতের থেকে ভাত শালিখের দলে উড়ে ভেসে যেতে, কিংবা না যেতে যেতে
এইসব, রিয়্যলি এইসব আকাশের গান খুব ভালো লাগে!